মো. মাসুম বিল্লাহ, জাককানইবি প্রতিনিধি:
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এসময় আবাসিক হল থেকে এক বহিরাগতকে আটক করা হয় । ২৯ মে (রবিবার) দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়বাংলা ভাস্কর্যের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অভি সাব্বির বলেন, মানববন্ধনের লাইন সোজা করতে গিয়ে যায়িদ সাদ নামের এক ছাত্রলীগকর্মীর সঙ্গে ফাহিমের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে ফাহিম বহিরাগত কয়েকজনকে নিয়ে হামলা করে। ফাহিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম গ্রুপে ও যায়িদ সাদ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিবের গ্রুপের রাজনীতি করে।
পরে বিষয়টি মীমাংসায় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত হলে দুই গ্রুপ ফের বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সাজ্জাদ, ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের মহিবুর রহমান প্রান্ত, নাট্যকলা বিভাগের হিমেল, পপুলেশন সায়েন্স বিভাগের হৃদয়, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফারাবি ও চারুকলা বিভাগের শুভ আহত হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ফাহিম দেশীয় অস্ত্রসহ বহিরাগত ক্যাডার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় আমাদের ৮-১০ শিক্ষার্থী আহত হন। পরে হলের শিক্ষার্থীরা খবর পেয়ে বহিরাগতদের ধাওয়া করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবুকে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করে কেটে দেন। পুনরায় যোগাযোগ করলে ফোন ধরেননি।
সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিবের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর উজ্জ্বল কুমার প্রধান জানান, বিকেলে বহিরাগতদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মারামারির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রিয়ন নামে একজনকে আটক করে নিয়ে আসি। তার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।