বরেণ্য সাংবাদিক, লেখক, কলামিস্ট ও একুশের অমর গানের রচয়িতা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে।শনিবার (২৮ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তার মরদেহ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
এর আগে বেলা ৩টা ১০ মিনিটে শহীদ মিনার থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হয়। এরপর বেলা ৩টা ২২ মিনিটে সেখানে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।এরপর বিকেল ৪টায় গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ নেওয়া হয় জাতীয় প্রেসক্লাবে। সেখানে ৪টা ৭ মিনিটে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন বেলা ১১টা ৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার মরদেহ বহনকারী বিমান পৌঁছায়। সেখানে সরকারের পক্ষ থেকে মরদেহ গ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। গত ১৯ মে ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে লন্ডনের বার্নেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।
জানা গেছে, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মিরপুরে স্ত্রীর কবরের পাশে তাকে সমাহিত করার ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।গত ২০ মে পূর্ব লন্ডনের ব্রিকলেইন মসজিদে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর প্রথম জানাজা হয়। পরে পূর্ব লন্ডনের ঐতিহাসিক শহীদ আলতাব আলী পার্কের শহীদ মিনারে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ব্রিটিশ-বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যসহ সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এরপর ২৩ মে সোমবার বাংলাদেশ হাইকমিশন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর স্মরণে পূর্ব লন্ডনে এক মিলাদ মাহফিল ও শোকসভার আয়োজন করে।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়