আসামিরা হলেন—উপজেলার রামজীবনপুর গ্রামের সারোয়ার জাহান তাজ্জুতের ছেলে আশরাফুল ইসলাম মুন্না (২০), তাঁর ভাই মোবারক হোসেন (২৩)।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার মেয়ের কপালে দায়ের কোপে গভীর ক্ষত হয়েছে। ডান চোখ ফুলে আছে। অনেকগুলো সেলাই লেগেছে। শঙ্কায় আছি কি হয়। বর্তমানে মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। চিকিৎসক বলেছেন, আরও বেশ কয়েক দিন ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন’ মোস্তাকিম মিয়া (২২), চাচা দেলোয়ার জাহান ছোটন (৪৮) এবং চাচাতো ভাই রাতুল মিয়া (১৮)। এছাড়া বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতি ও মোহনগঞ্জ নারী নির্যাতন প্রতিরোধ নেটওর্য়াকের নেতৃবৃন্দ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। প্রয়োজনে তাছলিমার বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবেন বলেও নেতৃবৃন্দ সংবাদ মাধ্যম জানান।
মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম বলেন, মামলার পরপরই আসামিরা গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। এদিকে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য আসামী পরিবার তাছলিমার বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা করা জন্য বিভিন্ন জায়গায় ধন্যা দিচ্ছে বলেও সংবাদে প্রকাশ।
উল্লেখ্য, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের রামজীবনপুর গ্রামের দশম শ্রেণির ছাত্রী তাছলিমা আক্তারকে গত শুক্রবার বিকেলে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে মুন্না নামের এক তরুণ। এ ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর মামলা নেয় পুলিশ। ওই ছাত্রীর কপালে আড়াই ইঞ্চি গভীর ক্ষত হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক। তাছলিমা আক্তার রামজীবনপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে।