বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪

বরগুনায় অগ্নিকান্ডে ২১০ টি দোকান পুড়ে ছাঁই

যা যা মিস করেছেন

মোঃ মহিবুল ইসলাম বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ
পৌর সুপার মার্কেটের পিছনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২১০ টি দোকান পুড়ে ছাঁই। ক্ষতির পরিমান প্রায় ৬০ কোটি টাকা। এতে গার্মেন্সের , কসমেটিকস দোকান, সেলুন, বশতঘর ও আবাসিক হোটেলসহ প্রায় ২১০ টি দোকান পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান- বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটের কারনে এই আগুনের সুত্রপাত। তাছাড়া বরগুনার ফায়ার সার্ভিস দুর্বল সে কারনে এতোগুলো দোকান পুড়েছে। একটি জেলা শহর কিন্তু এখানে ফায়ার সার্ভিসের টিম ততোটা সবল নয়। তাই এতো ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

পরে দুইঘন্টা ধরে চেষ্টা চালিয়ে বরগুনার বেতাগী, আমতলী ও পাথরঘাটার ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

মঙ্গলবার (১৭ মে) রাত পৌনে বারোটার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এ অগ্নিকাণ্ডে পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবকসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। তবে আগুনের সুত্রপাত কিভাবে ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার (১৭মে) রাত পৌনে বারোটার দিকে বরগুনা পৌরমার্কেটের পিছনের একটি দোকানে আগুন লাগে।

নিমিশেই আশ-পাশের গার্মেন্সের দোকান, বশত ঘর ও কসমেটিকসের কয়েকটি দোকানে আগুন লেগে যায়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস বরগুনা স্টেশনের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে আমতলী, বেতাগী ও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থেকে আরও পাঁচটি ইউনিট এসে দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ২১০ টি দোকান ও প্রায় ৬০ কোটিরও বেশী টাকার ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ ঘটনার খবর পেয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান,পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক, পৌরসভার মেয়র এ্যাড কামরুল আহসান মহারাজ,উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির দূর্ঘটনাস্থল পরিদর্শক করেন।এবিষয়ে ফায়ার সার্ভিস বরগুনা স্টেশনের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই।

তবে আগুনের তীব্রতার কারনে আমাদের একার পক্ষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে আমতলী, বেতাগী ও মির্জাগঞ্জ থেকে কয়েকটি ইউনিট আসে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বিষয়ে যে অভিযোগ রয়েছে এসব ভিওিহীন, আগুন নিভানোর জন্যে আমারা শতভাগ কাজ করেছি। কিভাবে আগুনের সূত্রপাত তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে ধারনা করা হয়েছে ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিটের কারণে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটনা ঘটে।বরগুনা পৌরসভার মেয়র এ্যাড,কামরুল আহসান মহারাজ জানান, এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা শুনে আমি দ্রুত ছুটে আসি।

ফায়ার সার্ভিসের কয়একটি টিম,রেডক্রিসেন্ট কর্মী সহ স্থানীয় লোকজনের প্রচেষ্টায় প্রায় দুই ঘন্টা পরে আল্লাহর রহমতে আগুন নিয়ন্তনে আসে। আসলে কিভাবে আগুনের সুত্রপাত ঘটে তা এখনও যানা যায়নী।

তিনি আরও জানান, এ অগ্নিকান্ডে প্রায় ২১০ টি দোকান পুড়ে ছাঁই হয়েছে এবং প্রায় ৬০ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

এবিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, খবর শুনে ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্যে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদেরকে আমরা সহযোগিতা করি এবংআগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হই।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security