স্টাফ রিপোর্টার : ‘গণধোলাইয়ে আহত ময়মনসিংহ জজকোর্টের শিক্ষানবীশ আইনজীবি পরিচয়দানকারী আশরাফুল আলম রাসেল’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের জেরে মোবাইলে সাংবাদিককে অকথ্য ও অশালীন ভাষায় গালিগালাজ এবং প্রাণনাশসহ মামলা-হামলার হুমকি দেয়ায় সেই আইনজীবির বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছে সাংবাদিক মো. এমদাদুল ইসলাম। তিনি ‘দৈনিক ডেইলি অবজারভার’ পত্রিকার নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলা প্রতিনিধি এবং ‘আমার সমাচার ডটকম’ পোর্টালের প্রকাশক ও সম্পাদক।
আইনজীবি আশরাফুল আলম রাসেল ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার উলামাকান্দি গ্রামের রমজান বিএসসির ছেলে। তিনি ময়মনসিংহ জজকোর্টের শিক্ষানবীশ আইনজীবি বলে জানা গেছে।
রবিবার (৮ মে) বিকেলে এ বিষয়ে সাংবাদিক মো. এমদাদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার সম্পাদিত অনলাইন পোর্টালে ‘গণধোলাইয়ে আহত ময়মনসিংহ জজকোর্টের শিক্ষানবীশ আইনজীবি পরিচয়দানকারী আশরাফুল আলম রাসেল’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সংবাদের বিপরীতে একই দিনে তার (আইনজীবির) পাঠানো তথ্য অনুসারে প্রতিবাদ লিপিও প্রকাশ কর থাকি। তারপরও এ বিষয়কে কেন্দ্র করে আইনজীবি রাসেল ফোনে আমাকে অকথ্য ও অশালীন ভাষায় গালিগালাজ এবং প্রাণনাশসহ মামলা-হামলার হুমকি প্রদান করেন। নিরাপত্তার দিক বিবেচনায় গত শনিবার বিকেলে থানায় জিডি করি।
আইনজীবি আশরাফুল আলম রাসেল জানান, মোবাইলে বাগ-বিতন্ডা হয়েছে। তবে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়নি। তাছাড়া গণধোলাই ও মামলা মোকাদ্দমা এ ধরনের কোন ঘটনাও ঘটে নাই। অন্য কোন সাংবাদিক মিথ্যা তথ্য দিয়েছে হয়তো-বা নিউজ পোর্টাল থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এমদাদ সাহেব তার নিজের পোর্টালে পোষ্ট করেছেন। এমদাদ সাহেবের এখানে কোন হাত নাই। আইনজীবি হিসেবে আমি ভূয়া নয়। আমার আইডি কার্ড আছে।
পূর্বধলা থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম সাধারণ ডায়েরির (জিডির) বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তদন্তের অনুমতির জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।