ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরুর আগেই শুক্রবার কমলাপুর রেলস্টেশনে টিকিটপ্রত্যাশীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। যারা স্বাচ্ছন্দ্যে টিকিট সংগ্রহ আর আরামে ঈদযাত্রা করতে চান তারাই মূলত শুক্রবার সকালেই দাঁড়িয়েছেন লাইনে।
তবে রেলের আগাম ঈদের টিকিট বিক্রি শুরুর আগেই অনলাইন বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। সকাল থেকে সার্ভার ডাউনের কারণে বেশির ভাগ টিকিটপ্রত্যাশী প্রবেশ করতে পারেননি অনলাইনে। ফলে ২৬ তারিখের টিকিটপ্রত্যাশীদের ভিড় ছিল উপচেপড়া।
আগাম ঈদ টিকিটের ৫০ শতাংশ অনলাইনে বিক্রির কথা থাকলেও শুক্রবার সকাল থেকেই সার্ভার ডাউন। শত চেষ্টা করেও অনেকেই প্রবেশ করতে পারেননি ওয়েবসাইটে। যারাও বা ঢুকতে পেরেছেন বেশির ভাগই পড়েছেন ভোগান্তিতে, কারও টাকা কেটে নিলেও দেওয়া হয়নি টিকিট। এ ছাড়া যাত্রার তারিখ, ট্রেনের নাম এমনকি যাত্রার সময়ও ভুলে ভরা বলে অভিযোগ অনেকের।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকিট বিক্রির নতুন সফটওয়্যার মানসম্মত নয়। ঈদের সময় অতিরিক্ত মানুষের চাহিদা থাকায় অনলাইনে টিকিট বিক্রিতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা তাদের।
তবে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সহজ ডট কম বলছে ভিন্ন কথা। ভোগান্তির কথা অস্বীকার করে প্রতিষ্ঠানটির মিডিয়া ম্যানেজার ফারহাত আহমেদ বলেন, ‘টিকিট বিক্রির প্রস্তুতি আমরা শতভাগ সম্পন্ন করেছি। অনলাইনের পাশাপাশি ৭৭টি কাউন্টার থেকে যাত্রীরা কোনো ভোগান্তি ছাড়াই টিকিট ক্রয় করতে পারবে।’
অনলাইন ছাড়াও রাজধানীর কমলাপুর, বিমানবন্দর, তেজগাঁও, বনানী ও গুলিস্তান পুরাতন রেলস্টেশনের ৭৭টি কাউন্টারে ঈদের টিকিট বিক্রি করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
জানা গেছে, অনলাইনে ই-টিকিটিংয়ের মাধ্যমে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি সকাল ৮টায় শুরু হবে। এ ছাড়া কাউন্টারে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এক টানা অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলবে। প্রতিটি টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রে একটি করে নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কাউন্টার থাকবে। একজন যাত্রী একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়