মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত উত্তেজনায় ঠাসা এক ম্যাচ উপভোগ করলে আইপিএলপ্রেমীরা।
ম্যাচের চেহারা ক্ষণে ক্ষণে বদলিয়েছে। কখনো মনে হয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু জিততে চলেছে। আবার কখনো মনে হয়েছে রাজস্থান রয়্যালসেই জয় নিশ্চিত।
এমন দোলাচলের ম্যাচে শেষ হাসি ফুটল বেঙ্গালুরুর মুখেই। প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচটি ৪ উইকেটে জিতে নিয়েছে ফাফ ডুপ্লেসির দল।
অথচ রাজস্থানের দেওয়া ৩ উইকেটে ১৭০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১১ বলে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বেঙ্গালুরু।
সেখান থেকে দিনেশ কার্তিক ও শাহবাজ আহমেদের ৬৭ রানের জুটি দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যায়। শাহবাজ যখন মাত্র ২৬ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কার মারে ৪৫ রানে আউট হন তখন জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৩ বলে ১৬ রানের। যা পূরণ করা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের জন্য মামুলি।
হার্সেল প্যাটেলকে নিয়ে সেই ১৬ রান ৫ বল বাকি থাকতেই করে ফেলেন দীনেশ কার্তিক।
মাত্র ২৩ বলে ৭ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কার মারে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন কার্তিক। হার্সেল করেন ৪ বলে ৯ রান।
দীনেশ-শাহবাজ জুটির আগে বিরাট কোহলি ৫ রানে ব্যাট করার সময় রানআউট হয়ে ফেরেন। ডেভিড উইলিকে রানের খাতাই খুলতে দেননি যুজবেন্দ্র চাহাল। শেফ্রেইন রাসফোর্ড ৫ রানে আউট হয়ে যান ট্রেন্ট বোল্টের পেসে।
তবে ওপেনিংয়ে অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি ও আনুজ রাওয়াত ছিলেন দুর্দান্ত। দুজনে ৭ ওভারে দুজনে ৫৫ রানের জুটি গড়েন। ৭ম ওভারের শেষে বলে ডুপ্লেসি ২৯ রানে আউট হলেই বেঙ্গালুরুর টপঅর্ডারে ধস নামে।
পরের ওভারে নবদ্বীপ সাইনির বলে আউট হয়ে ফেরেন ২৫ এল ২৬ রান করা আনুজ।
রাজস্থানের বোল্ট আর চাহাল ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। নবদীপ সাইনি নিয়েছেন ১ উইকেট।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল রাজস্থান। কিন্তু এ ম্যাচে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। মাত্র ৪ রান যোগ করে ফিরে যান যশস্বী জয়সওয়াল। ঠিক ছন্দে না থাকলেও দলের হালটা এরপর ঠিকই ধরেন ইংলিশ তারকা জস বাটলার।
দেবদূত পাডিকালের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিনি। দুজন মিলে দলকে অনেকটা পথ এগিয়েও দেন। ২৯ বলে ২টি বাউন্ডারি আর ২টি ছক্কায় ৩৭ রান করে আউট হন পাডিক্কাল। হার্শল প্যাটেলের বলে আউট হন তিনি।
জয়সওয়ালের মতোই দ্রুত ফিরে যান রাজস্থানে অধিনায়ক সানজু স্যামসন। ৮ বলে ৮ রান করেন। এরপর বাটলারের সঙ্গী হন ক্যারিবীয় মারকুটে ব্যাটার শিমরন হেটমায়ার।
দুজনেই অপরাজিত থেকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৯ রান তুলেন স্কোরবোর্ডে। ৪৭ বলে ৬ ছক্কা হাঁকিয়ে বাটলার করেন ৭০* রান। ৩১ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২টি ছক্কায় ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন হেটমায়ার।
একটি করে উইকেট পেয়েছেন হাসারাঙ্গা, উইলি ও হার্সেল।