মঙ্গলবার, জুন ২৫, ২০২৪

সাজানো মামলায় জবি শিক্ষার্থীদের ফাঁসানো হয়েছে, দাবি পরিবারের

যা যা মিস করেছেন

জবি প্রতিনিধি :

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম ক্লাসে যুক্ত হতে গত ৩ মার্চ নীলফামারীর গ্রামের বাসা থেকে ঢাকায় আসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একাউন্টিং বিভাগে সদ্য ভর্তি হওয়া প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রওশনুল ফেরদৌস রিফাত।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য কোন আবাসিক হল না থাকায় সদ্য ভর্তি হওয়া এই শিক্ষার্থী উঠেন বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন একটি ভাড়া মেসে। তবে ২০ দিন অতিবাহিত না হতেই গত ২৪ মার্চ ভোররাতে রাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও সরকার বিরোধী শ্লোগান দেওয়ার অভিযোগে কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম সেই মেসে অভিযান চালিয়ে শিবির সন্দেহে তাকেসহ মোট ১২ শিক্ষার্থীকে আটক করে। পরে আদালতের নির্দেশে তাদের তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে পুলিশের অভিযোগ আমলে নিয়ে
সরকার বিরোধী শ্লোগান দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে অভিযোগ করে ১১ শিক্ষার্থীকে
বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ নিয়ে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।

তবে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে এসে এই শিক্ষার্থীর পিতা নীলফামারি জেলার ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগের সভাপতি মোরশেদুল করিম কল্লোল দাবি করেছেন, তার ছেলে সম্পূর্ণ নির্দোষ। তাকে সাজানো মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির আগ থেকেই তার ছেলে ছাত্রলীগ করতেন এবং কখনো শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।

এদিকে ১ নং পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের সভাপতি
ওয়াহেদুন্নবী ও সাধারণ সম্পাদক জাফর আলী এক লিখিত বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃত এই শিক্ষার্থী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। আলাদা বিবৃতিতে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক
আবু সায়েম সরকারও একই দাবি জানান।

শুধু রিফাতের পরিবার নয়, একই দাবি জানিয়েছেন
গ্রেপ্তার হওয়া রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে সদ্য ভর্তি হওয়া আব্দুর রহমান অলির পরিবার। অলির বাবা
মোঃ জাহাঙ্গীর ইসলাম নিজেও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

গ্রেফতারকৃত এই শিক্ষার্থীর বড় ভাই আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি, আমার ভাই এবং আমার পিতাসহ আমাদের পুরো পরিবার আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আমার বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি বাংলাদেশের হয়ে যুদ্ধ করেছেন এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। অথচ আমার ভাইকে এইরকম সাজানো মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমাদের পুরো পরিবার এ নিয়ে চিন্তায় আছে। আমি আমার ভাইয়ের মুক্তি চাই।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নানা অপতৎপরতার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে, যা সরকারবিরোধী। এমন অপতৎপরতায় যদি তারা যুক্ত থাকেন, তবে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। তাই তাঁদের সাময়িক বহিষ্কার করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আদালতের জামিন দেওয়া সাপেক্ষে এই শিক্ষার্থীরা তাদের ছাত্রত্ব ফিরে পাবে।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, রাষ্ট্র বিরোধী কার্যালাপের অভিযোগে এই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়। যদি আদালত তাদের জামিন দেয়, বা তারা নির্দোষ প্রমাণিত হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহার করা হবে। এ নিয়ে কোন সমস্যা হবেনা।

অনুমতি ব্যতিত এই সাইটের কোনো কিছু কপি করা কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয়।

প্রিয় পাঠক অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্যামেইলবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন themailbdjobs@gmail.com ঠিকানায়।

More articles

সর্বশেষ

x  Powerful Protection for WordPress, from Shield Security
This Site Is Protected By
Shield Security