পবিত্র রমজান ধৈর্যের মাস, আর ধৈর্যের ফল হলো জান্নাত। এ মাস পরষ্পর সম্পীতির মাস। এ মাসে মুমিনের রিজিক বৃদ্ধি করা হয়। রোজাদার ব্যক্তিকে একটি খেজুর বা এক গ্লাস পানি দিয়ে হলেও ইফতার করালে ওই রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব দেওয়া হবে। (শুআবুল ঈমান, হাদিস নং: ৩৩৩৬)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আদম সন্তানদের প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব ১০ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘জান্নাতের একটি দরজা রয়েছে, যার নাম ‘রাইয়ান’। কেয়ামতের দিন রোজাদাররাই শুধু ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে। অন্য কেউ সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।
সেদিন ঘোষণা করা হবে, রোযাদাররা কোথায়? তখন তারা দাঁড়িয়ে যাবে এবং ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে। যখন তাদের প্রবেশ শেষ হবে, তখন দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। ফলে তারা ব্যতীত অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।’ (বোখারি, হাদিস নং: ১৭৯৭)
একবার আবু হুরায়রা (রা.) আরজ করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে অতি উত্তম কোনো নেক আমলের নির্দেশ দিন। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তুমি রোজা রাখো। কারণ এর সমমর্যাদার আর কোনো আমল নেই।’ (সুনানে নাসাঈ, হাদিস নং: ২৫৩৪)
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা এবং তদনুযায়ী আমল পরিত্যাগ করতে পারল না, তবে এমন ব্যক্তির পানাহার পরিত্যাগ করার আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। (মুসলিম, তিরমিজি, ইবনে মাজা)
উপরোক্ত হাদিসে স্পষ্ট করা হয়েছে দিনের বেলায় শুধু পানাহার থেকে বিরত থাকাই রোজা নয়। রোজাদারদের মিথ্যা কথাসহ সব ধরনের পাপ থেকে বিরত থাকতে হবে।