ম্যাচ বাঁচানো নয়, শেষ দিনে ম্যাচ জেতারও আশা ছিল বাংলাদেশের। দিনের খেলা শুরু হয়ে আধাঘণ্টা পার হতেই সেই আশায় গুঁড়েবালি। কেশভ মহারাজ আর সাইমন হার্মারের ঘূর্ণি বলে যেন চোখে সর্ষে ফুল দেখলেন ব্যাটসম্যানরা। মুমিনুল হকের দল গুটিয়ে গেল মাত্র ৫৩ রানে। শেষ দিনে এক ঘন্টারও কম খেলে বাংলাদেশ টিকতে পারল কেবল ৭৭ বল।
গতকাল ডারবানে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে ২২০ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশকে বিধ্বস্ত করে দিতে ৩২ রানে ৭ উইকেট নিয়েছেন মহারাজ, ২১ রানে ৩ উইকেট হার্মারের। এই দুজন ছাড়া আর কোন বোলারই ব্যবহার করতে হয়নি প্রোটিয়াদের। টেস্টে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন পুঁজি। এর আগে ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। কিংসমিডের মাঠে টেস্টে কোন দলের এটিই সর্বনিম্ন সংগ্রহ।
শুরুটা মুশফিকুর রহিমকে দিয়ে। দিনের একদম প্রথম ওভারেই তাকে শিকার ধরেন মহারাজ। মহারাজের বলে পরিষ্কার এলবিডব্লিউ হলেও রিভিউ নিয়ে বিফল হন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ৫ বলে কোন রানই করতে পারেননি। লিটন দাসের উপরও ছিল ভরসা। তিনি ক্রিজে এসে ব্যাখাতীত এক শট খেলে বিদায় নেন। সাইমন হার্মারের বলে মিডঅনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২ রান করা লিটন। ইয়াসির আলি টিকেছেন কেবল ৫ বল। মহারাজকে এক চার মেরেছিলেন। এই বাঁহাতি স্পিনারের পঞ্চম শিকার হয়ে বোল্ড হয়েছেন তিনি। মেহেদী হাসান মিরাজ টিকেছেন ৪ বল।
এক প্রান্তে টিকে একাই রান বাড়াচ্ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। হার্মারের বলে স্টাম্পিং হয়ে থামে তার দৌড়। পরের ওভারে খালেদ আহমেদকে তুলে নেন মহারাজ। মহারাজ তার পরের ওভারে তাসকিন আহমেদকে কাবু করে ধরেন সপ্তম শিকার। তাতে বিব্রতকর হার সঙ্গী হয় বাংলাদেশের।
দক্ষিণ আফ্রিকা : ৩৬৭ ও দ্বিতীয় ইনিংস : (আগের দিন ৬/০) ৭৪ ওভারে ২০৪ (এলগার ৬৪, পিটারসেন ৩৬, বাভুমা ৪, রিকেলটন ৩৯*, মুল্ডার ১১, হার্মার ১১; খালেদ ০/৩৩, মিরাজ ৩/৮৫, ইবাদত ৩/৪০, তাসকিন ২/২৪)।
বাংলাদেশ : ২৯৮ ও দ্বিতীয় ইনিংস : ১৮.৫ ওভার ৫৩ (জয় ৪, সাদমান ০, শান্ত ২৬, মুমিনুল ২, মুশফিক ০, লিটন ২, ইয়াসির ৫, মিরাজ ০, তাসকিন ১৪, খালেদ ০, ইবাদত ০* ; মহারাজ ২/৩২, হার্মার ৩/২১)।
ফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ২২০ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : কেশভ মহারাজ।
সিরিজ : ২ ম্যাচের প্রথমটি শেষে ১-০তে এগিয়ে দ.আফ্রিকা।