নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে দেয়া হচ্ছে বাড়তি মনোযোগ। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সৌরবিদ্যুতের পর বায়ু শক্তিকে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে এবার দেশের বৃহৎ বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে কক্সবাজারে। ৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে বেসরকারি উদ্যোগে। ইউএসডিকে গ্রিন এনার্জি (বিডি) লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি নির্মাণ করছে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মিশ্র জ্বালানি ব্যবহারের অংশ হিসেবে নবায়নযোগ্য শক্তিকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সৌর, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ, বায়ুবিদ্যুৎ আগামী দিনে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
গতকাল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মিশ্র জ্বালানি ব্যবহারের অংশ হিসেবে নবায়নযোগ্য শক্তিকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সৌর, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ, বায়ুবিদ্যুৎ আগামী দিনে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, কক্সবাজারকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন তত্পরতা পরিচালনা করছেন, তার অংশ হিসেবে এ বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি হতে যাচ্ছে দেশের বৃহত্তম বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র। আরো বায়ুভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।
কক্সবাজারের ৬০ মেগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পে মোট বিনিয়োগ করা হচ্ছে ১১ কোটি ৬৬ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। এ প্রকল্পে ১২০ মিটার উচ্চতায় এনভিশনের ইএন১৫৬ মডেলের ২২টি টারবাইন স্থাপন করা হবে। প্রতিটি টারবাইনের উৎপাদন ক্ষমতা ৩ দশমিক শূন্য মেগাওয়াট এবং রোটরের ব্যাস ১৫৬ মিটার। ২০২২ সালের ডিসেম্বর নাগাদ প্রকল্পটির কমিশনিং করা হবে।
বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রধান ও পূর্বশর্ত হচ্ছে বায়ুবিদ্যুতের সম্ভাব্যতা যাচাই বা উইন্ড রিসোর্স অ্যাসেসমেন্ট। এরই পরিপ্রেক্ষিতে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) কর্তৃক ভোলার চরফ্যাশন ও তজুমদ্দিন এবং কক্সবাজার জেলার পেকুয়ায় তিনটি মেট টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বিদ্যুৎ বিভাগ বায়ুবিদ্যুৎ বিষয়ে নিজস্ব কারিগরি সক্ষমতায় কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে।
কক্সবাজারের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মোট ২৪৫ মেগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে নয়টি স্থানের তথ্য সংগ্রহ করে উইন্ড ম্যাপ প্রস্তুত করা হচ্ছে।