স্টাফ রিপের্টার : নেত্রকোনায় দুগিয়া আব্বাছিয়া এমদাদুল উলুম ফাযিল (স্মাতক) মাদরাসায় অধ্যক্ষ পদে জাল সনদে চাকুরি নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে আবুল ফাতাহ্ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন খানের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ তুলে ওই মাদরাসা পরিচালনা কমিটি সাবেক সভাপতি অমিত খান শুভ্র উকিল নোটিশ প্রেরণ করেছেন। অমৃত খান শুভ্রের পক্ষে আইনি নোটিশ প্রেরণ করেন অ্যাডভোকেট মো. এখলাছুর রহমান খান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাদরাসাটি জেলার সদর উপজেলায় দুগিয়া গ্রামে অবস্থিত। মো. মহিউদ্দিন খান বিগত ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ৭ জুলাই থেকে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ পদে যোগদান করে সরকারি ভাতাদি ভোগ করছেন।
উকিল নোটিশে উল্লেখ, অধ্যক্ষ হিসেবে মাদরাসায় যোগদানের সময় শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের সত্যায়িত কপি নিয়োগ কমিটির বরাবরে দাখিল করেন মো. মহিউদ্দিন খান। দাখিলকৃত আলিম পরীক্ষার ১৯৯২ সনে সাধারণ শাখার মূল সনদের রোল নং-১২৯১, রেজি নং-৫৫০০ শিক্ষাবর্ষ ১৯৮৯-১৯৯০। এ সনদে মধুয়াকোনা আজিমুল উলুম সিনিয়র মাদরাসা হতে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ দেখানো হয়েছে। একই সনে আলীম প্রাইভেট মুজাব্বির চারশ’ নম্বরে আধুনিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং তাতে যাহার রোল নং-১২৯১, রেজি নং-১৪৩, শিক্ষাবর্ষ ১৯৯২ থাকায় তা সন্দেহজনক।
নোটিশে আরো উল্লেখ, আপনি (মহিউদ্দিন) কাগজপত্র জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সৃজন করে নিয়োগ কমিটির চোখে ধুলি নিক্ষেপ ও প্রতারণার আশ্রয়ে মাদারাসায় যোগদান এবং অসদুপায় অবলম্বনে বেআইনীভাবে মাদরাসার কার্যক্রম পরিচালনা ও সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। নোটিশ প্রেরণের ৭ দিনের মধ্যে আপনার এহেন জালিয়াতি কর্মকান্ডের কারণ ব্যাখ্যা করে আইনি নোটিশের জবাব দিবেন। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থা কথা উল্লেখ করেন আইনজীবি।
নিয়োগের সময় পরিচালনা কমিটির তৎক্ষালীন সভাপতি অমিত খান শুভ্র জানান, জাল সনদের বিষয়টি নিয়ে মাদরাসার লোকজন ও তার (অধ্যক্ষ) সাথে যারা শিক্ষকতা করেন তারা আমাকে অবগত করেন। সনদপত্র পর্যালোচনা করে দেখলাম তিনি (অধ্যক্ষ) একই বছরে দুটি পরীক্ষা দিয়েছেন। তিনি এরআগে আরেক মাদরাসায় প্রভাষক হিসেবে চাকুরি করেন এবং সেখানে আলিমের দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করা সনদ দাখিল করেননি। আর দ্বিতীয় বিভাগের সনদ ব্যাতিত মাদরাসায় অধ্যক্ষ পদে চাকুরি হতো না।
তিনি আরো বলেন, আমার আইনজীবি স্ত্রী শিউলিকে সনদপত্র দেখালে সে বলে এক শ্রেণিতে একবছরে দুই পরীক্ষা দেয়ার নিয়ম নাই। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডকে দেখিয়েছি তারাও বললো ঘাপলা রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) থেকে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে সনদ যাচাই বিষয়ে প্রতিবেদন হাতে পাবার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মাদরাসার অধ্যক্ষ আবুল ফাতাহ্ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন খান এ মাদরাসায় যোগদানের আগে এন আকন্দ মাদরাসায় প্রভাষক হিসেবে চাকুরির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইনি নোটিশ পেয়েছি। এর জবাব আইনি প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে দেওয়া হবে জানান তিনি।