রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন পাকিস্তানের বিরোধীদলীয় আইন প্রণেতারা। পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে অধিবেশন বসবে।
যুক্তি-তর্ক শেষে আগামী ৩ এপ্রিল রোববার ইমরানকে অভিশংসনে ভোট আয়োজন করবে পাকিস্তানের সংসদ। খবর ডনের
এর আগে গত সোমবার সম্মিলিতভাবে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করে বিরোধী দলগুলো।
অনাস্থা উত্থাপনের পর বিরোধীদলীয় নেতা শেহবাজ শরীফ বলেন, “এই হাউজের (সংসদ) আস্থা হারিয়ে ফেলায় প্রধানমন্ত্রী তার পদে থাকার নৈতিকতা হারিয়েছেন”।
পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট নামে বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যদের জোটটি ইমরানের অভিশংসনের বিষয়ে প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী।
দেশটির প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ইমরান খানের সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় আইন প্রণেতাদের সমর্থন রয়েছে।’’ ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ইতোমধ্যে ১৬৮ ভোট নিশ্চিত করেছে তারা। উল্লেখ্য, ৩৪২ সদস্যের পার্লামেন্টে ১৭২ সদস্য অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট দিলে ক্ষমতাচ্যুত হবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
বিশ্লেষকরা বলছেন ক্ষমতায় আসার পর থেকে সবচেয়ে গুরুতর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে চলেছেন ইমরান। দেশটির সামরিক বাহিনীর সাথে সম্পর্কের অবনতির জন্যই এমন পরিস্থিতি বলে দাবি তাদের।
তবে বিরোধীরা দাবি করছেন ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং পাকিস্তানের ক্রমাগত অর্থনৈতিক সমস্যাই তাদের এ পদক্ষেপে উদ্বুদ্ধ করেছে। বিপরীতে চলমান ঘটনাপ্রবাহকে ‘বিদেশি ষড়যন্ত্র’ বলে অভিহিত করছেন ইমরান খান।
এরই মধ্যে ইমরান সরকারের জোটসঙ্গী মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি) জোট ছেড়েছে। এছাড়া নিজের দলের একাধিক সদস্য ইমরান খানের সমালোচনা করেছেন। এমন অবস্থায় গদি টেকানো ইমরান খানের জন্য প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।