চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই গতকাল মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা নীতি-বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধির সঙ্গে অনলাইনে এক বৈঠক করেছেন।
বৈঠকে ওয়াং ই বলেন, নতুন পরিবর্তনশীল যুগে প্রবেশ করেছে বিশ্ব। চীন ও ইউরোপের উচিত মাঝেমাঝে কৌশলগত আদানপ্রদান বজায় রাখা, পারস্পরিক বুঝাপড়া জোরদার করা, সহযোগিতা ও মতৈক্য সম্প্রসারণ করা, এবং একযোগে বিভিন্ন ধরনের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা। তিনি বলেন, দুপক্ষের উচিত আগামী দিনের উচ্চ পর্যায়ের আদানপ্রদানের প্রস্তুতি নেয়া, সহযোগিতার কৌশলগত দিক-নির্দেশনা এবং বিশ্বকে ইতিবাচক বার্তা প্রদান করা।
ইউক্রেন ইস্যুতে ইইউ প্রতিনিধি বলেন, দ্রুত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন, মানবিক করিডোর খুলে দেয়া, এবং মরণাস্ত্র ব্যবহার না করার আহ্বান জানায় ইইউ। তিনি বলেন, ইইউ আশা করে, শান্তি বাস্তবায়নে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রতিউত্তরে ওয়াং ই বলেন, “ইউক্রেনে এখনো যুদ্ধ শেষ হয়নি। চীন এজন্য গভীর দুঃখ প্রকাশ করে। এ ব্যাপারে চীনের অবস্থান স্পষ্ট। যুদ্ধ ও শান্তির মধ্যে আমরা শান্তির পক্ষে দাঁড়াই। একতরফা অবরোধ ও সংলাপের মধ্যে, আমরা সংলাপের পক্ষে, আগুনে তেল নিক্ষেপ করা ও আগুন নেভানোর মধ্যে, আমরা আগুন নেভানোর পক্ষে দাঁড়াই। সময় প্রমাণ করবে যে, চীনের অবস্থান হচ্ছে দায়িত্বশীল”।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, সব দেশেরই স্বাধীনভাবে তাদের আন্তর্জাতিক নীতি গ্রহণের অধিকার রয়েছে। বাস্তবতা থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, স্নায়ুযুদ্ধের চিন্তাধারার পুরোনো পথ ইউরোপে আর চলবে না। বিশ্বকে বিভাজিত করার কার্যক্রম অগ্রহণযোগ্য। কঠোর অবরোধ শুধু পরিস্থিতিকে আরো জটিল করবে এবং সমস্যাকে আরো গুরুতর করবে। তাই সবপক্ষের সাথে একযোগে রুশ-ইউক্রেন সংকট মোকাবিলায় চেষ্টা চালাতে চায় চীন।ইইউ কর্মকর্তা বলেন, রাশিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে চায় না ইউরোপ। পরিস্থিতির আরো গুরুতর হওয়া দেখতে চায় না ইইউ। যে কোনো ধরনের নতুন স্নায়ুযুদ্ধ ও উপদলীয় সংঘর্ষের বিরোধিতা করে ইউরোপ। সূত্র: সিআরআই