আরিফ শেখ, রংপুর প্রতিনিধিঃ
গত ২২ মার্চ মঙ্গলবার দৈনিক আলোকিত পত্রিকা ডটকম সহ কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত ‘সরকারি হাসপাতালে চাকরি দেয়ার নামে ১৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া স্বামী স্ত্রী আটক,’ শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ করেছেন জাহিদুল ইসলাম। এক প্রতিবাদলিপিতে তিনি জানান, তিনি কোনো ধরনের জালজালিয়াতি এবং সরকারি কোনো দপ্তরের দালালির সাথে জড়িত নন।
তিনি প্রতিবাদে জানান ,গোল্ডেন সার্ভিস লিমিটেডে এর পরিচালক গোল্ডেন সার্ভিস লিমিটেডের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভলান্টিয়ার সার্ভিস দিয়ে থাকেন, সেই সুবাদে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে করোনাকালীন সময়ের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর লেখিত অনুমতি ক্রমে গত ১৫ মার্চ কয়েকজন ভলান্টিয়ার নিয়োগ দেওয়া হয়। সেই নিয়োগকে কেন্দ্র করে মানিক সহ স্থানীয় কয়েকজন যুবক হাসপাতালে কর্মরত একজন ভলান্টিয়ার এর মাধ্যমে আমাকে ডেকে এনে সৈয়দপুর রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের একটি কক্ষে আটকে রেখে তাদের পছন্দের লোক নিয়োগ দিতে হবে নয়তো ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। আমি দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ওরা আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখান। মানিক সহ কয়েকজন বখাটে আমার বিরুদ্ধে সাংবাদিক ভাইদের কাছে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে নিউজ প্রকাশ করায়।
প্রতিবাদলিপিতে প্রকৃত ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন দাতা সংস্থার আর্থিক সহযোগিতায় গোল্ডেন ভলান্টিয়ার সার্ভিস লিমিটেডের মাধ্যমে, করোনাকালীন সময়ের জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে ভলান্টিয়ার সার্ভিস দেয়া হয় । সেই খবর পেয়ে বখাটে মানিকসহ তার লোকজন আমার কাছে আসেন এবং তাদের মনোনীত কিছু লোক দিতে চাইলে আমি রাজি না হওয়ায় তখন থেকে আমার ও আমার প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন ভলান্টিয়ার সার্ভিস লিমিটেডের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য উঠে পড়ে লাগেন। গোল্ডেন সার্ভিস লিমিটেডে একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান , এই প্রতিষ্ঠানের টাকার বিনিময় নিয়োগের বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন । সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহেল বাকী স্বাক্ষরিত একটি অনুমতিপত্রে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ আছে যে, গোল্ডেন সার্ভিস লিমিটেডের দেয়া জনবলের বেতন-ভাতা সরকারি কোন প্রতিষ্ঠান বহন করিবে না। এই বেতন-ভাতা সম্পূর্ণ গোল্ডেন সার্ভিস লিমিটেড কর্তৃক সরবরাহ হইবে। আর যারা নিয়োগপ্রাপ্ত হন তাদের চুক্তিপত্রে স্পষ্ট উল্লেখ আছে বিষয়টি।