কুবি প্রতিনিধি:
রাতে মশা দিনে মশা, এ যেন মশারই রাজ্য পরিস্থিতি। সন্ধ্যা হলেই মশারি কিংবা কয়েল ছাড়া বসাই যেন দায় হয়ে পড়েছে। হল, গোল চত্বর, মুক্ত মঞ্চ, শহীদ মিনার কিংবা ক্যাফেটেরিয়া সব জায়গায় একই দৃশ্য।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝোপঝাড়গুলো এবং বিভিন্ন অনুষদ ও আবাসিক হলের ড্রেনগুলো নিয়ম করে পরিষ্কার করা হয় না।
শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের আবাসিক শিক্ষার্থী লাজেম জিম বলেন, সন্ধ্যার পর মশারি কিংবা কয়েল ছাড়া আর কিছু কল্পনাই করা যায় না। একটু বসে কোথাও শান্তি মতো আড্ডা দিব সেটাও সম্ভব না মশার জন্য। এমনকি দুপুরে মশারি ছাড়া রুমে শুয়েও থাকা যায় না। মশার প্রকোপ কমাতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
কাজী নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. আসিফ উদ্দিন বলেন, ক্যাম্পাসের ভেতর হাঁটলে কোথাও না কোথাও ময়লার স্তুপ দেখা যাবেই। এছাড়া হলের পাশের ড্রেন, বিভিন্ন জায়গায় ঝোপঝাড় নিয়মিত পরিষ্কার করে না কর্তৃপক্ষ। ফলে সেখান থেকে মশার ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়। মশারি ছাড়া রুমের ভেতর বসাই যায় না। আমরা এর দ্রুত সমাধান চাই।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের পাশে, বিজ্ঞান অনুষদের পিছনে, আবাসিক হলগুলোর বিভিন্ন জায়গায়, মুক্তমঞ্চের পাশে ময়লা স্তুপ হয়ে পড়ে আছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় বিভিন্ন জায়গায় ময়লা পানি জমে আছে। যা মশার প্রজনন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।
মশার উপদ্রব বৃদ্ধির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের ডেপুটি চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা: মাহমুদুল হাসান খান বলেন, এখন সাধারণত এডিস মশার প্রকোপ বাড়তে পারে। এতে ডেঙ্গু জ্বর হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এ থেকে মুক্তি পেতে আশেপাশের ড্রেন, ঝোপঝাড় যথাসম্ভব পরিষ্কার রাখতে হবে। এছাড়া দিনের বেলা ঘুমাতে গেলেও যেন শিক্ষার্থীরা যেন মশারি ব্যবহার করে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখা প্রধান ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সিটি কর্পোরেশনের আওতায় না। তবুও অতীতে এ ধরনের পরিস্থিতিতে স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানালে তিনি ঔষধ ছিটিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। এবারও আমরা তার শরণাপন্ন হবো।
তিনি আরো বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের লোকবল সংকট রয়েছে। তবুও আমরা চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব পরিষ্কার রাখার।