রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুসহ দুজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা করেছেন তার স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ডলি। মামলায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) সকালে শাজাহানপুর থানায় এই মামলাটি করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১১, ১২, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও টিপুর স্ত্রী ডলি।
শাহজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন মোল্ল্যা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলা নম্বর-১৮। অভিযোগে বাদী কারও নাম উল্লেখ করেননি।
মামলার বাদী এবং নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী দাবি করেন, তার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) রাত ১০টার দিকে শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় দুর্বৃত্তদের এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হন আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু এবং কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি। টিপু মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তাকে লক্ষ্য করে ছোড়া গুলিতে নিহত হন রিকশা আরোহী কলেজছাত্রী প্রীতি। তিনি রাজধানীর বদরুন্নেসা কলেজের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় যানজটে আটকে ছিল টিপুকে বহন করা মাইক্রাবাসটি। এ সময় সড়কের উল্টো দিক থেকে মুখোশধারী দুই দুর্বৃত্ত এসে তার মাইক্রোবাস লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। মাইক্রোবাসের কাচ ভেঙে জাহিদুলের শরীরে একাধিক গুলি লাগে। চালক মুন্নাও গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় সামিয়াও গুলিবিদ্ধ হন। তাদের তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত টিপু মতিঝিল আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তার গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলা সদরের ফতেপুর ইউনিয়নে। তিনি মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য। এছাড়া তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১১, ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা কাউন্সিলর ফারজানা ইসলাম ডলির স্বামী।
পুলিশ জানায়, টিপু ছিলেন যুবলীগ নেতা রিয়াজুল হক মিল্কী হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে অনেক দিন কারাগারে ছিলেন তিনি। পরে জামিনে মুক্ত হন। ২০১৩ সালের ২৯ জুলাই গুলশানের শপার্স ওয়ার্ল্ড নামের একটি বিপণিবিতানের সামনে যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্কীকে গুলি করে হত্যা করা হয়।