স্টাফ রিপোর্টার : দীর্ঘদিন ধরে নেত্রকোনা জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দুই গ্রুপে বিভক্ত ও ভাঙনের সুর শুনা গেলেও বর্তমানে তা প্রকাশ্যে রূপ ধারন করেছে। বিএনপিকে শক্তিশালী করে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং দেশব্যাপী তৃণমূলকে পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী আহব্বায়ক কমিটির এক মিটিং আহবান করেন। রবিবার (১৩ মার্চ) দুপুরের দিকে জেলা আহব্বায়ক কমিটির আহব্বায়ক অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল হকের বাসভবনে তৃণমুল বিএনপিকে পুনর্গঠনের বিষয়ে মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা বিএনপির বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্যসহ বিএনপির ও এর অংঙ্গ সংগঠনের বর্তমান ও সাবেক প্রায় শতাধিক নেতা-কর্মী এ মিটিং বর্জন করেন। দলীয় কার্যালয়ে মিটিং না করে বাসভবনে মিটিং করা নিয়ে জেলা বিএনপিতে প্রকাশ্যে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন ও দ্বিধাবিভক্তির সুর।
মিটিং বর্জন বিষয়ে বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য ও পৌরবিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক আমিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে জেলা বিএনপিতে স্থবিরতা বিরাজ করছে। জেলা বিএনপির আহব্বায়ক কমিটির আহব্বায়ক ডা. আনোয়ারুল হক ও সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী জেলাতে অবস্থান না করে পেশা ও ব্যবসায়ীক কারণে অধিকাংশ সময় রাজধানীতে অবস্থান করেন। দলীয় কার্যক্রম আস্থাভাজন প্রতিনিধি মাধ্যমে পরিচালনা করায় এনিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। সাংগঠনিক কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। আজ (রবিবার) তারা তৃণমূলকে পুনর্গঠন করার লক্ষ্যে দলীয় কার্যালয়ে মিটিং আহবান না করে যথারীতি আহব্বায়কের বাসায় মিটিং আহব্বান করে। বর্তমান কমিটির অধিকাংশ নেতা-কর্মী এ মিটিং বর্জন করে দলীয় কার্যালয়ে মিটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। পুলিশের বাঁধার কারণে তা না করতে পেরে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খান সাহেবের বাসভবনে একত্রিত হয়ে সদস্য সচিবের ডাকা মিটিং বর্জন করে। দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষে কেন্দ্রীয় বিএনপির সকল কর্মকান্ড ও কর্মসূচী দলীয় কার্যালয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরআগে আহব্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরে জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ১০১ নেতাকর্মী কেন্দ্রীয় কমিটির বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়।
তিনি আরো জানান, সদস্য সচিবের ডাকা মিটিং বর্জন বিষয়ে জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আ. মান্নান তালুকদার, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের এ্যাড. আরিফা জেসমিন নাহিন, বিএনপি নেতা এসএম শফিকুল কাদের সুজা, সালাহ উদ্দিন খান মিল্কী, এমরান খান চৌধুরী, সৈয়দ জাহেদুল আলম, সৈয়দ আ. মোতালিব, মাসুদ রানা লিটন, আনিছুল হক খান, গাজী তোফায়েল, আছিয়া রহমানসহ বর্তমান আহব্বায়ক কমিটির সদস্য এ্যাড. এমএ হাশেম, এ্যাড. মাসুদ রানা চৌধুরী, এসএম মুসা, ইসলাম উদ্দিন খান চঞ্চল, সেলিম আহম্মেদ খান, রেহানা তালুকদার, এসএম রাসেল, আরিফুল হক আরিফ, ইমরান তালুকদার এবং বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের বর্তমান ও সাবেক শতাধিক নেতা-কর্মী একাত্মতা পোষন করেন।
এনিয়ে আহব্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, জেলা কমিটির বর্ধিত সভা পরিচালনা করায় ব্যস্ত আছি। পরে কথা বলবেন বলে জানান।
জেলা বিএনপির আহব্বায়ক ডা. মো. আনোয়ারুল হককে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও ফোন না ধরায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।