বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দুই একজন মন্ত্রী ঠাকুরগাঁওয়ে এসে বলেছেন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে বিএনপি জড়িত। তিনি বলেন, আমি নিজে কোনদিন ব্যবসা করি নাই। আর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক! তাহলে ওনারা সরকারে আছেন কেন ? এখনও যদি বিএনপি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, সরকারে কেন আছেন ? বিএনপি’র হাতে ক্ষমতা দিয়ে দেখেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে কি না? এ সমস্ত কথাবার্তা বলে তারা আরও হাস্যকর অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। রোববার সকালে ঠাকুরগাঁও কালিবাড়িতে তার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির জন্য এই সরকারের উদাসীনতা এবং চরম ব্যর্থতাই দায়ী, সরকার জনগণের সাথে তামাশা করছে। মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি থেকে শুরু করে যেভাবে দাম বেড়েছে সাধারণ মানুষ, নিম্ন আয়ের মানুষ, মধ্যবিত্তের মানুষ তারা হিমশিম খাচ্ছে, অসহায় অবস্থায় পড়েছে।
সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই সরকার রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধ করতে কোনো কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট বলে উল্লেখ করেন।
নির্বাচন কমিশনের চায়ের দাওয়াতে যাবেন কিনা সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি এই নির্বাচন কমিশন মানে না। চা খেতে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না।
বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, ‘দেশের জনগণের বাক স্বাধীনতা, সংবাদপত্র, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, সামাজিক মাধ্যম এবং দেশি-বিদেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখতে বিটিআরসি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ‘দ্য বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন রেগুলেশন ফর ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যান্ড ওটিটি প্ল্যাটফর্মস-২০২১’ এবং ‘ওভার দ্যা টপ (ওটিটি) কনটেন্টভিত্তিক পরিষেবা প্রদান এবং পরিচালনা নীতিমালা-২০২১’ এই দুই নীতিমালাসহ ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিলের দাবি জানান।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল করিম, জেলা বিএনপি’র সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, দফতর সম্পাদক মামুন উর রশীদসহ বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।।