নির্বিকার পুতিন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কথাই বলছি। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরাঁ, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ কেউই তাকে শান্ত করতে পারছেন না। যুদ্ধনেশায় উন্মত্ত তিনি। বিশ্বনেতারা বার বার তার প্রতি ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের আহবান জানানো সত্তে¡ও তিনি কারো কথায় কর্ণপাত করছেন না। এমনকি যুদ্ধবিরতির আহবান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। সবার কথাই ফেলে দিয়ে অনড় অবস্থানে পুতিন। সর্বশেষ শনিবার তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ম্যাক্রন ও শুলজ।
তারা ফের তাকে যুদ্ধবিরতির আহবান জানিয়েছেন। কিন্তু এ আহŸানে কোনো পাত্তা দেয়ার তেমন কোনো ইচ্ছাই দেখা যাচ্ছে না পুতিনের মধ্যে। এমন মন্তব্য করা হয়েছে ফরাসি প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে।
এ খবর দিয়ে অনলাইন গার্ডিয়ান বলছে, পুতিনের সঙ্গে এক ঘন্টা ১৫ মিনিট কথা বলেছেন শুলজ ও ম্যাক্রন। তারা তাকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আহবান জানিয়েছেন বলে জার্মান সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন। এর আগে একই দিনে একই রকম আহবান জানিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, এই শত্রুতা বন্ধের জন্য আলোচনা শুরু হতে হবে।
এর জবাবে ক্রেমলিন থেকে বলা হয়েছে, ম্যাক্রন এবং শুলজকে মস্কো এবং কিয়েভের মধ্যে সমঝোতার বিষয়ে অবহিত করেছেন পুতিন। ইউক্রেনে যে মানবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে এ নিয়ে ফরাসি ও জার্মান নেতাদের উদ্বেগের জবাব দিয়েছেন তিনি। তবে যুদ্ধবিরতির কোনো উল্লেখ করা হয়নি। উল্টো ক্রেমলিন অভিযোগ করেছে যে, বেসামরিক জনগণকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে ইউক্রেন। জার্মান সরকারের মুখপাত্র বলেছেন, ফোন আলাপের বিষয়ে বিস্তারিত বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা। ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক চলমান উদ্যোগ নিয়েই কথা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
ওদিকে বেলারুশে শুরু হওয়া মস্কো ও কিয়েভের কর্মকর্তাদের আলোচনা ভিডিও লিংকে অব্যাহত আছে বলে শনিবার জানিয়েছেন রাশিয়ার মুখপাত্র দমিত্রি পেসকভ। নিউজ ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি বলেছেন, আলটিমেটাম দেয়ার পরিবর্তে দৃঢ়ভাবে নির্দিষ্ট টপিকের ওপর আলোচনা করছে ইউক্রেন ও রাশিয়া। তিনি বলেন, রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পরে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৩০০ সেনা নিহত হয়েছেন তার দেশের। ইউক্রেনের অনেক ছোট ছোট শহরের অস্তিত্ব এখন আর নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।