ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর সবচেয়ে বেশি মানুষ শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছেন প্রতিবেশী পোল্যান্ডে। এরপরে রয়েছে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশ। এর মধ্যে মলদোভা জানিয়ে দিয়েছে তারা ‘ব্রেকিং পয়েন্টে’ পৌঁছে গেছে। আর শরণার্থী নিতে পারবে না এমন অবস্থায় চলে গেছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকু পোপেস্কু বিবিসিকে বলেছেন, আর শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার সক্ষমতার ‘ব্রেকিং পয়েন্টে’ পৌঁছে গেছে তার দেশ। এর অর্থ শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য ভবনের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আশ্রয় দিতে পারবে না তারা। এসব আশ্রয়ে তীব্র ঠান্ডায় লোকজনকে একটু উষ্ণতা ও নিরাপত্তা দেয়া হয়।
আঞ্চলিক মানদণ্ডে মলদোভায় যে পরিমাণ শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে তা খুব কম। এক লাখের সামান্য বেশি, যা জাতীয় জনসংখ্যার বিচারে শতকরা ৪ ভাগ বৃদ্ধিকে বোঝায়। পোপেস্কু বলেছেন, ইউক্রেনের সবচেয়ে নাজুক প্রতিবেশী হলো মলদোভা। তার আর্থিক উৎস নেই বললেই চলে। নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার মান তেমন স্থিতিস্থাপক নয়। উল্লেখ্য, মলদোভা থেকে মাত্র ৩০ মাইল দূরে ইউক্রেনের ওডেসা শহর। সেখানে রাশিয়া পূর্ণ মাত্রায় যুদ্ধ শুরু করেছে। ফলে শরণার্থীর ঢল নেমেছে। পোপেস্কু এর ফলে ভয়াবহ এক মানবিক বিপর্যয়ের সতর্কতা দিয়েছেন।