কোনো কূটনৈতিক উদ্যোগ কাজ করছে না। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরাঁ, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগান- কারো কোনো কূটনীতি কাজ করছে না। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন একগুঁয়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছেন ইউক্রেনে। এতে সবার চোখের সামনে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছে একটি স্বাধীন দেশ। এই যুদ্ধে কতজন বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে তার কোনো পরিসংখ্যান নেই। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এ পর্যন্ত যুদ্ধে তার দেশের কমপক্ষে ১৩০০ সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ৫০০-৬০০ রাশিয়ান সেনা তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। রাজধানী কিয়েভের দক্ষিণে একটি সামরিক বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে রাশিয়া।
দখলীকৃত শহর মারিউপোলের মানুষ হিমাঙ্ক তাপমাত্রায় পানি, বিদ্যুতহীন এবং সামান্য খাদ্য নিয়ে অবর্ণনীয় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। বিবিসি বলছে, লুহানস্কের সভারোদোনেৎস্ক, রুবিজনে ভারি গোলা নিক্ষেপ করছে রাশিয়া। এতে সেখানে কয়েক ডজন এপার্টমেন্ট ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। এতে ভয়াবহ অগ্নিকাÐের সূচনা হয়। এ তথ্য দিয়েছে ইউক্রেনিয়ান স্টেট ইমার্জেন্সি সার্ভিস। বেসরকারি বাড়িঘর ও এপার্টমেন্ট সহ কমপক্ষে ৬০টি স্থাপনায় রাতভর হামলা করা হয়েছে। ইউক্রেনিয়ান স্টেট ইমার্জেন্সি সার্ভিস থেকে টেলিগ্রাম চ্যানেলে পোস্ট করে বলা হয়েছে, লুহানস্ক অঞ্চলকে ভাঙতে পারবে না শত্রæরা। আসুন আমরা জেগে উঠি। সবকিছুই হবে ইউক্রেনের। কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্টের মতে, রাতভর হামলা চালানো হয়েছে ইউক্রেনে। এ সময় বাজানো হয়েছে সাইরেন। পত্রিকাটি আরও বলেছে, ইউক্রেনের প্রতিটি অঞ্চলে এয়ার রেইড এলার্ট বাজানো হয়েছে ভোরের দিকে।