ইউরোপ সেরার মঞ্চে আরো একবার ভঙ্গ হলো প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) শিরোপা স্বপ্ন। লা প্যারিসিয়ানদের ব্যর্থতায় সবচেয়ে বেশি হতাশ হওয়ার কথা নাসির আল খেলাইফির। মৌসুমের শুরুতে অজস্র অর্থ খরচায় যে ভারি স্কোয়াড তৈরি করলেন পিএসজি সভাপতি, সে দল কী উপহার দিল তাকে? সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদের অতি মানবীয় কামব্যাকে খেলাইফি আঙুল তুলেছেন ম্যাচ রেফারির ওপরও। শেষ বাঁশি বাজতেই রেফারিদের ড্রেসিংরুমে ছুটে গেছেন উত্তেচিত পিএসজি চেয়ারম্যান।
প্রথম লেগে ১-০তে এগিয়ে থাকা পিএসজি দ্বিতীয় লেগেও শুরুতে লিড নেয়। প্রথমার্ধে কিলিয়ান এমবাপ্পের করা সেই গোলের লিড ৬১ মিনিট পর্যন্ত ধরে রাখে পিএসজি। এরপরই প্রত্যাবর্তনের আভাস দেন করিম বেনজেমা। দ্বিতীয় লেগে ফরাসি তারকার সমতা ফেরানো সেই গোল নিয়েই অভিযোগ নাসির আল খেলাইফি, কোচ মাউরোসিও পচেত্তিনো এবং পিএসজির ক্রীড়া পরিচালক লিওনার্দোর।
স্প্যানিশ দৈনিক মার্কা এক প্রতিবেদনে লিখেছে, রিয়ালের প্রথম গোল নিয়েই আপত্তি খেলাইফির। পিএসজি গোলকিপার দোন্নারুম্মা কাছ থেকে বল কেড়ে নেয়ার চেষ্টায় তাকে ফাউল করেছেন রিয়াল স্ট্রাইকার বেনজেমা।
তাদের দাবি, সেখানে গোল না দিয়ে পিএসজির পক্ষে ফ্রি-কিক দেয়া উচিত ছিল।
শেষ বাঁশির পর ভিআইপি বক্স থেকে সিঁড়ি বেয়ে দ্রুত নেমে যান খেলাইফি। রেফারিদের ড্রেসিংরুম খোঁজ করছিলেন তিনি। মার্কা লিখেছে, এসময় খেলাইফির চোখমুখ ক্ষোভে লাল হয়ে ছিল। এতটাই রেগে ছিলেন যে, ভুলক্রমে রিয়াল মাদ্রিদেরই প্রতিনিধি মেহিয়া দাভিলার কক্ষে ঢুকে পড়েন তিনি।
ম্যাচ শেষে পিএসজি কোচ মাউরোসিও পচেত্তিনোও রিয়ালের প্রথম গোল নিয়ে অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, ‘এমন মনে হচ্ছে যে, অনেক অবিচার করা হয়েছে। দোন্নারুম্মার ওপর বেনজেমার ফাউলটা ওখানে পরিষ্কার। ওই গোলের পর খেলার গতি পাল্টে গেছে। সেটার জন্য আমাদের ভুগতে হয়েছে।’
পচেত্তিনো বলেন, ‘অনেক বড় ধাক্কা ছিল গোলটা, কারণ আমরাই দুই লেগ মিলিয়ে ভালো খেলেছি। ১৮০ মিনিটের হিসাবে আমরাই ভালো খেলেছি, কিন্তু ১-১ হয়ে যাওয়ার পর রিয়াল মাদ্রিদের আর হারানোর কিছু ছিল না। ’