গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ফোনকল এড়িয়ে চলছেন সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসকরা। মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বুধবার এ খবর দিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি নিজেদের ক্ষোভ দেখাতেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের ফোন কল প্রত্যাখ্যান করছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। সৌদি আরব ও আরব আমিরাতে সম্প্রতি মিসাইল ও ড্রোন হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে ইরানপন্থী ইয়েমেনি বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি। তবে এরপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে না। তাছাড়া ইরানের পরমাণু কার্যক্রম নিয়ে যে দর কষাকষি চলছে তা নিয়েও হতাশ এই দুই দেশ। এই চুক্তিতে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের নিরাপত্তার বিষয়টি পুরোপুরি উপেক্ষিত হয়েছে বলে মনে করছে তারা।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, সম্ভাব্য তেল সংকট মোকাবেলায় সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের সঙ্গে সম্পর্ক জোড়া লাগানোর চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। গত মঙ্গলবার রাশিয়ার তেলের উপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন জো বাইডেন।
তেলের পাশাপাশি গ্যাসের দামও রেকর্ড ছুঁয়েছে। এই মুহূর্তে তাই রাশিয়াকে আরও চাপে ফেলতে মধ্যপ্রাচ্যের তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর সহায়তা দরকার যুক্তরাষ্ট্রের।
তবে জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদি আরবের দূরত্ব বাড়ছেই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স বলেন, বাইডেন তাকে ভুল বুঝলো কিনা তাতে তার কিছু যায় আসে না। তার উচিৎ আমেরিকার স্বার্থের বিষয়ে নজর দেয়া। তিনি আরও বলেন, আমেরিকার বিষয়ে লেকচার দেয়ার অধিকার যেমন তার নেই, সৌদি আরবের ক্ষেত্রেও বিষয়টা একই।