রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন না করায় বিশ্বজুড়ে ম্যাকডোনাল্ড’স, পেপসি ও কোকা-কোলা বর্জনের ডাক দেয়া হয়েছে। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের কারণে রাশিয়ায় ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলো। পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপ করেছে নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু এরপরেও ম্যাকডোনাল্ড’স, পেপসি ও কোকা-কোলার মতো খাবার ও পানীয় কোম্পানি এ আগ্রাসন নিয়ে পুরোপুরি চুপ রয়েছে। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে এসব কোম্পানিকে বয়কটের ডাক দেয়া হয়েছে।
এরইমধ্যে ইউক্রেনীয় তিনটি সুপারমার্কেট চেইন তাদের স্টোরগুলো থেকে কোকা-কোলার সকল পণ্য সরিয়ে নিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে #BoycottCocaCola, #BoycottPepsi and #BoycottMcDonalds হ্যাশট্যাগগুলো ট্রেন্ডিং হচ্ছে। টুইটার ব্যবহারকারীরা বলছেন, যতদিন এসব কোম্পানি রাশিয়ায় ব্যবসা পরিচালনা করে যাবে ততদিন তারা তাদের কোনো পণ্য কিনবে না।
ইন্ডিপেনডেন্টের এক রিপোর্টে জানানো হয়, ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর কয়েক ডজন বড় কোম্পানি রাশিয়া থেকে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
অ্যাপল ও নেটফ্লিক্সের মতো কোম্পানি রাশিয়ায় তাদের সেবা বন্ধের কথা জানিয়েছে।
তবে খাবার ও পানীয় কোম্পানিগুলো এখনো এই ইস্যুতে একদম চুপ রয়েছে এবং রাশিয়া থেকে সরে আসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এ কারণে রাজনৈতিকভাবে চাপ ফেলা হচ্ছে এসব কোম্পানির উপরে। একইভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতেও এসব কোম্পানিকে বয়কটের আহবান জানানো হচ্ছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার একটি রুশ গণমাধ্যম রিপোর্ট করে যে, কোকা-কোলা রাশিয়ায় তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, রাশিয়ায় তাদের সব ধরণের কার্যক্রম সক্রিয় রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের অংশীদার, সমাজ ও রাশিয়ায় কর্মরত হাজার হাজার কর্মীদের দায়িত্ব রয়েছে। আমরা আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তাকে সবসময় অগ্রাধিকার দেই।
কোকা-কোলার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ইউক্রেনে রেড ক্রসের কার্যক্রমে এক মিলিয়ন ইউরো দান করেছে। এছাড়া এক বিবৃতিতে এ অঞ্চলের শান্তি কামনা করেছে কোম্পানিটি। তবে ম্যাকডোনাল্ড’স ও পেপসির তরফ থেকে কোনো বিবৃতিও পাওয়া যায়নি। রাশিয়ায় ৮৪৭টি রেস্টুরেন্ট রয়েছে ম্যাকডোনাল্ডসের। তাদের মোট আয়ের ৯ শতাংশই আসে রাশিয়া থেকে। অপরদিকে পেপসিকোর আসে মোট আয়ের ৪ শতাংশ। এটি বিশ্বের সবথেকে বড় পানীয় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান।