তাসলিমুল হাসান সিয়াম,গাইবান্ধা প্রতিনিধি:গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ২৭ ফেব্রুয়ারী হাসনা খাতুন হেনা(১০)এর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার হয়। এবং হত্যাকান্ডের মূল আসামি দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিং এ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান,২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে আসামী মোরসালীন মসজিদের ভিতর মোক্তব শেষে, হাসনা খাতুন হেনাকে ১০ টাকার নোট দিয়ে দোকান থেকে বিস্কুট আনতে বলে। এবং বিস্কুট নিয়ে আসলে হাসনা খাতুন হেনাসহ আরো দুই ছাত্রীকে বিস্কুট খাওয়ায় ইমাম মোরসালীন। সকাল ৮ টার দিকে আসামী বাইসাইকেল যোগে বর্ধনকুঠি এলাকায় জহিরুলের বাড়িতে পড়ানোর জন্য যায়। আনুমানিক ৯ টার দিকে পাশের এক বাড়ীতে সকালে মোক্তব পড়ানো শেষে পথিমধ্যে হাসনাকে দেখতে পায়। হাসনাকে কৌশলে মসজিদ সংলগ্ন টিনের ঘরে আসতে বলে। হাসনা খাতুন ইমাম মোরসালিন এর ঘরে আসলে তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এবং বলে আমি নানীকে বলে দেব তখন মোরসালীন হাসনার গলা টিপে ধরে।এক পর্যায়ে হাসনা নিস্তেজ হয়ে পরলে। ধর্ষন করে,ধর্ষন শেষে হাসনার পরিহিত হিজাব দিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর মসজিদ এর বালু ভর্তি বস্তা খালি করে।তাকে সেই বস্তায় ভরায় হত্যাকাণ্ড ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সকাল ১১ টার দিকে লাশটিকে তার বাইসাকেল এর ক্যারিয়ারের পিছনে বেঁধে বর্ধন কুঠির মানিক কাজীর বাঁশঝারের ভিতর রেখে আসে। হত্যাকাণ্ড ঘটনা সন্দেহে আরো তিন জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে প্রেসব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে।
আপনি যা যা মিস করেছেন
Add A Comment