বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে বিশ্বে জুয়েলারি শিল্পে মডেল হবে বাংলাদেশ। তার ব্যবসায়িক প্রজ্ঞা, সৃষ্টিশীলতা ও দূরদর্শিতায় আগামীতে বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্প আরও সমৃদ্ধ হবে। তার নেতৃত্বের সুদক্ষতায় ও সুপরিকল্পনায় জুয়েলারি শিল্পে ফিরবে প্রাণ। আশাজাগানিয়া সাফল্যের মধ্যে দিয়ে অদূর ভবিষ্যতে জুয়েলারি শিল্প ফিরে পাবে তার হারানো অতীত ঐতিহ্য। স্বর্ণের বারে লেখা থাকবে মেড ইন বাংলাদেশ। বাংলাদেশেই গোল্ড ব্যাংক হবে। কেউ আর ব্যবসায়ির স্বর্ণ ধরেই চোরাই স্বর্ণ বলে চালান দিতে পারবে না। স্বর্ণ ব্যবসায়িরা বুক ফুলিয়ে মাথা উঁচু করে স্বর্ণ ব্যবসা করতে পারবেন। বিজিএমইএ’র মত বাজুসও হবে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন।
রবিবার রাজশাহীর নানকিং দরবার হলে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) আয়োজিত রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় বক্তারা এমন অভিমত ব্যক্ত করেন।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের কর্ণধার ও বাজুসের সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীর এরই মধ্যে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকায় রিফাইনারি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন। যেখানে দেশের বাইরের তরল সোনা রিফাইনারি হয়ে দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিস্কুট (বার) ও স্বর্ণালঙ্কার আকারে বহির্বিশ্বেও রপ্তানি করা যাবে। আমদের দেশের স্বর্ণ শিল্পীদের হাতের কাজ খুবই সুনিপুণ। যা দিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারেও সুখ্যাতি অর্জন করা সম্ভব।
বক্তারা বলেন, দেশের মসলিন এক সময় যেমন গোটা বিশ্বেই প্রসিদ্ধ ছিল। তবে কালের বিবর্তনে তা হারিয়ে গেছে। আবারও নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। ঠিক তেমনিভাবেই দেশে নতুন করে স্বর্ণের সোনালী দিনও আবার ফিরে আসার স্বপ্ন দেখছেন জুয়েলারি ব্যবসায়িরা। বাজুসের সভাপতি সায়েম সোবহান আনভীরের হাত ধরেই সেই স্বপ্নের সোপানে নব যাত্রা শুরু করবে আগামীর বাংলাদেশ।
বাজুস নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের তৈরি স্বর্ণের গয়না রফতানির সম্ভাবনা আছে। কিন্তু সেজন্য সরকারি নীতি ও পৃষ্ঠপোষকতাও প্রয়োজন। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণনীতি ঘোষণা করেছেন। এখন সরকার দেশের জুয়েলারি শিল্পের পৃষ্ঠপোষক হলে এই শিল্প নতুন আলোর দিশা পাবে। দেশের তৈরি স্বর্ণের গয়না বিদেশে রফতানির দ্বার খুলবে। বাজুস সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে বলেও জানানো হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাজুসের সাবেক সভাপতি ও বাজুস ডিস্ট্রিক্ট মনিটরিং স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান ডা. দিলীপ কুমার রায়। তিনি বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে চাই। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতেই বাজুস সভাপতির নির্দেশে এই বিভাগীয় পর্যায়ে এই প্রতিনিধি সভা করা হচ্ছে। আমাদের উপজেলা পর্যায়ে কমিটি নেই। সেই কমিটি করতে হবে। আগামীতে বাজুস এর নিবন্ধন ছাড়া কেউ বৈধভাবে স্বর্ণ ব্যবসা করতে পারবেন না। আমরা সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে জুয়েলারি শিল্পের ইতিহাস বদলে দিতে চাই। আমাদের নতুন নেতৃত্ব দেশের আইকন সায়েম সোবহান আনভীর জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের জন্য গোল্ড ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছেন। তরল সোনা রিফাইন করে বিদেশে রফতানির পরিকল্পনা করছেন। আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবো। আগামী ১৭ মার্চ দেশে প্রথমবারের মত স্বর্ণমেলা আয়োজন করা হবে ঢাকার বসুন্ধরায়।
রাজশাহী বিভাগীয় এই প্রতিনিধি সভায় সভাপতিত্ব করেন, বাজুস রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি আসলাম উদ্দিন সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাজুস সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মেম্বার সেক্রেটারি মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স মিজানুর রহমান মানিক, জয়নাল আবেদিন, রিপনুল হাসান, এস কে আবু সোহেল, খুলনা বিভাগীয় প্রধান রাকিবুল ইসলাম চৌধুরী, রংপুর জেলা সভাপতি এনামুল হক সোহেল, পিএস টু প্রেসিডেন্ট। রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত এই বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় রাজশাহী বিভাগের আট জেলার বাজুস সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য নেতৃবৃন্দ ও সদস্যবৃন্দ অংশ নেন।