মোঃ রোমান,মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের কালকিনিতে স্কুলছাত্রকে নিজ বাড়িতে প্রবাসীর ছেলের গলাকেটে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। খবর পেয়ে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে পরিবারের দাবী পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের মহরদ্দিরচর গ্রাম এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জহিরুল ইসলাম সরদার (১৬) কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের মহরদ্দিরচর গ্রামের কাতার প্রবাসী বারেক সরদারের ছেলে। তিনি সমিতিরহাট মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২২ এসএসসি শিক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাতার প্রবাসী বারেক সরদারের মেজ ছেলে সমিতির হাট মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয় ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। প্রতিদিনের মত রাতে খাবার খেয়ে জহিরুল নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে দরজা খোলা ও প্রধান গেটের তালা ভাঙা দেখে মা কহিনুর ছেলের কক্ষে গিয়ে দেখেন- ছেলে কম্বল গায়ে এবং চারপাশে রক্ত। এরপর মায়ের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে দেখে জহিরুলের গলা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে মরদেহ উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নিহতের মা কহিনুর বেগম বলেন, আমার ছেলেকে পূর্বপরিকল্পিত নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমার স্বামী কাতার প্রবাসী। আমাদের তেমন কোন শত্রু নেই। আমাদের ঘরের তিন রুমের মধ্যে এক রুমে জহিরুল ঘুমাতো। দরজা ভেঙ্গে দেখতে পাই আমার ছেলে আর নেই। আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে, আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসতিয়াক আসফাত রাসেল বলেন, জহিরুল একটি তিন রুমের বিল্ডিংয়ের এক রুমে থাকতো। প্রতিদিনের মতো রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যায়। সকালে তার কোন শব্দ না পেয়ে তার মা কহিনুর বেগম ডাকাডাকি করে। পরে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে জহিরুলের কম্বল দিয়ে ঢাকা মৃতদেহ দেখতে পায়। পরে স্থানীরা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। জহিরুলের গলায় কোপ রয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
মাদারীপরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) চাইলাউ মাররা বলেন, ঘটনার শোনার পরে আমিসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মৃতদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। নিহতের পরিবার মামলা দিলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধীকে আইনগত শাস্তি পেতেই হবে।