মোঃ বাবুল হোসেন, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) সংবাদদাতাঃ
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে নিজ বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের কুয়াত গ্রামে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার কুয়াতপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের স্ত্রী ছামিনা বেগমের (৩৫) সঙ্গে একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আল আমিনের (২৫) দীর্ঘদিন ধরে জমি জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এক পর্যায়ে গত জানুয়ারী মাসে বাড়ীর সীমানায় বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে দু পক্ষের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হলে ছামিনা বেগম পাঁচবিবি থানায় একটি জিডি করেন। যার নং- ৮৯৬। উক্ত জিডির প্রেক্ষিতে গত ১৪ই ফেব্রæয়ারী পাঁচবিবি থানার পুলিশ সরেজমিনে তদন্তে গিয়ে স্থানী ইউপি সদস্য ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে উভয় পক্ষকে আপস মিমাংসা করার জন্য বলেন।
সন্ধ্যায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেন গ্রামের মাতব্বরসহ উভয় পক্ষকে নিয়ে আপস মিমাংসায় বসলে ছামিনা বেগম অন্যদিন বসবেন বলে জানায়।
এঘটনার পর ঐদিন রাতেই ছামিনা বেগম নিজ ঘরের জানালায় আগুন লাগিয়ে দিয়ে আপস মিমাংসায় উপস্থিত হওয়া সান্থীয় ব্যক্তিবর্গের নামে গত ১৭ ফেব্রæয়ারী জয়পুরহাট জেলা বিজ্ঞ আমলী আদালত-২ এ মিথ্যে ফায়ারিং মামলা করে। যার মামলা নং ২২০/২০২২। আদালত মামলাটি ডিবি জয়পুরহাটে তদন্তের জন্য হস্তান্তর করেন।
সরেজমিনে গেলে ঐ গ্রামের আশরাফ আলী, আলাল উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম, গোলাম মাবুদসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, ছামিনার বাড়ীতে আগুন লাগার ঘটনাটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা। মূলত আল আমিনকে ফাঁসানোর জন্য এটি ঘটনানো হয়েছে। বাঁখুর সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার বিএসসি শিক্ষক ও মামলার ৪নং আসামী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ছামিনা ও আল আমিনের মধ্যে বিরোধ মিমাংসার জন্য ইউপি সদস্যের সঙ্গে গেলে সেদিন মিমাংসা না হওয়ায় পরদিন ফায়ারিং মামলার আসামী হলাম। প্রতিবেশি হিসাবে নিজেদের মধ্যে বিরোধ না করে আপস মিমাংসা করার কথা বলায় একই ভাবে ঐ গ্রামের আঃ গনি মিয়ার পুত্র মাবুদ মিয়া, মৃত আফাজ উদ্দিনের পুত্র আলহাজ¦ তমছের আলীকেও আসামী করা হয়েছে। মামলার বাদী ছামিনা বেগম বলেন, আল আমিনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছে। তারা আমাদের হত্যা করার উদ্দেশ্যে শোয়ার ঘরে গভীর রাতে আগুন লাগিয়ে দেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেন বলেন, বিষয়টি মিমাংসার জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তুু সেদিন মিমাংসা না হওয়াই পরের দিন আগুনের ঘটনা ঘটে।
এবিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির ওসি শাহেদ আল মামুন বলেন, মামলাটি তদন্ত প্রক্রিয়াধীন। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।