স্বামীর সতর্কবার্তা অগ্রাহ্য করে রাতে গোপনে স্ত্রী অন্য পুরুষের সঙ্গে ফোনে কথা বললে তা বৈবাহিক নিষ্ঠুরতার সামিল।
এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন ভারতের কেরালার হাইকোর্ট। স্ত্রীর ব্যভিচারিতা ও নিষ্ঠুরতার অভিযোগ তুলে পরিবার আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন নিম্ন আদালত।
এরপরই মামলাটি কেরালা হাইকোর্টে ওঠে। আদালত জানিয়েছেন, স্ত্রী ও তৃতীয় ব্যক্তির মধ্যে যে ফোনালাপের প্রমাণ পাওয়া গেছে, তা থেকে এটা সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না যে, ওই নারী ব্যাভিচারী। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্কিত যে ঝামেলা চলছে, তিনবার তারা পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছিলেন, একাধিকবার কাউন্সেলিংয়ের পর আবার একত্রিত হয়েছেন— এসব ঘটনা উল্লেখ করার পর আদালত জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির স্ত্রীর আচরণ ভারো হওয়া উচিত।
২০১২-তে বিয়ে হয় ওই দম্পতির। এরপরই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ আনেন নারী। যদিও তার আগে থেকেই স্ত্রীর আচরণে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন ওই ব্যক্তি। তার অভিযোগ ছিল, অফিসের কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে তার স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছেন। তা নিয়ে পরিবার আদালতে মামলাও করেন তিনি।
তবে আদালত ব্যাভিচারের বিষয়টি খারিজ করে দেন। একই সঙ্গে জানায়, নারকে ওই দ্বিতীয় ব্যক্তির সঙ্গে অফিসের বাইরে কোথাও দেখা যায়নি। সুতরাং স্ত্রী ব্যাভিচারি এটা প্রামাণ্য তথ্য নয়। এরপরই ওই ব্যক্তি আদালতে দাবি করেন, স্ত্রীর সঙ্গে ওই ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ কথোপকথন শুনতে পেয়েছিলেন। স্ত্রীকে সতর্ক করা সত্ত্বেও ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতেন।
স্বামী অপছন্দ সত্ত্বেও এবং সতর্ক করা সত্ত্বেও নারীর ওই ব্যক্তির সঙ্গে দিনের পর দিন ফোনালাপ চালিয়ে গেছেন। যদিও নারী দাবি করেছেন, তিনি কয়েকটি নির্দিষ্ট দিনেই কথা বলেছেন। কিন্তু ফোনকলের নথিতে দেখা গেছে, নারী একাধিকবার কথা বলেছেন। তারপরই আদালত পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘স্বামীর সতর্কবার্তা অগ্রাহ্য করে গোপনে অন্য ব্যক্তিকে ফোন করা বৈবাহিক নিষ্ঠুরতার সামিল।’
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা, হিন্দুস্তান টাইমস