চরম উত্তেজনার মধ্যেই ইউক্রেন সীমান্তবর্তী এলাকায় পরমাণু মহড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। আজ শনিবার থেকেই এই মহড়া শুরু হওয়ার কথা।
ইউক্রেন সীমান্তে উত্তেজনার আবহে রাশিয়ার এই সিদ্ধান্ত পরিস্থিতি আরও জটিল করবে বলে মত পশ্চিমী দেশগুলোর। তবে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। উল্টো তাদের বক্তব্য, তাদের পরমাণু যুদ্ধাস্ত্রের মহড়ার সঙ্গে পরিস্থিতি জটিল হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ এটা তাদের সামগ্রিক মহড়ারই একটা অংশ। সব বিষয়ে তারা স্বচ্ছ বলেও দাবি করেছে ক্রেমলিন।
এই অবস্থায় আবারও আমেরিকান প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে ফোন করে সীমান্ত থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের বার্তা দেন। যদিও রাশিয়া যে কোনও মুহূর্তে ইউক্রেনে আক্রমণ করতে পারে বলে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যে বার্তা দিয়েছিলেন, তার প্রেক্ষিতে ইউক্রেন সীমান্তে আরও সেনা মোতায়েনের প্রস্ততি নিচ্ছে ন্যাটো বাহিনীও।
তবে ইউক্রেন সীমান্তে উত্তেজনা কোনওভাবেই কমছে না। এরই মধ্যে জানা গেছে, ইউক্রেন সীমান্তে হামলা চালিয়েছে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তবে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দাবি, দফায় দফায় তাদের ঘাঁটির দিকে বোমাবর্ষণ করেছে ইউক্রেনের সেনারা।
রাশিয়ার সরকারও ইউক্রেনে বাহিনীর দিকে লাগাতার বোমাবর্ষণের অভিযোগ তুলেছে। কিয়েভ অবশ্য অভিযোগ স্বীকার করেনি। উল্টো, বাইডেনের সুরে সুর মিলিয়েই ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে- প্রতিশ্রুতি মতো রাশিয়া সীমান্ত থেকে আদৌ সেনা সরায়নি। আমেরিকান গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ইউক্রেন সীমান্তে কম করে দেড় লাখের বেশি সেনা মজুত রেখেছে রাশিয়া। ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে আজ ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে ভিডিও বৈঠকে বসবেন বাইডেন। সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা