তাসলিমুল হাসান সিয়াম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:মিম নামের কনের সাবেক স্বামী হাসিব মিয়া (২৪)। মিমের দ্বিতীয় বর সাগর মিয়াকে হুমকি দিয়ে বলেছিল ওই মেয়েকে বিয়ে করলে কপাল পুড়বে তোর। ঠিক যেমন কথা, তেমন কাজ করেই দেখাল হাসিব। অবশেষে সাগরের চুল ও কপাল পুড়েছে আগুনে।
ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাহপুরে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।
সরেজমিনে (৬ ফেব্রুয়ারি) জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট তিলকপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে সাগর মিয়ার (২০) বিয়ে ঠিক হয়েছিল পার্শ্ববর্তী রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার আবদুল্যাহপুর গ্রামের হাফিজুলের মেয়ে মিম আক্তারের সঙ্গে। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরযাত্রী যাবার কথা বিয়ে করতে। এ কারণে শনিবার রাতে বর সাগর মিয়া তার দুই বন্ধু জিয়াউর রহমান ও মিজু মিয়াকে নিয়ে বাড়ি সংলগ্ন টিনের মুদি দোকানে ঘুমানোর জন্য শুয়ে পড়ে। রাত প্রায় ২টার দিকে তার দোকানে এসে সাগর মিয়াকে ডেকে তোলে মিমের সাবেক স্বামী পীরগঞ্জ উপজেলার চেরাগপুর গ্রামের মনজু মিয়ার ছেলে হাসিব মিয়া। এসময় সাগর মিয়াকে বলা হয়, ‘তুই মিমকে বিয়ে করবি না। ওকে বিয়ে করলে তোমার কপাল পুড়ে যাবে।’
এ নিয়ে দুজনের সামান্য বাকবিতণ্ডা হলে হাসিব মিয়া চলে যায়। বর সাগর মিয়া তার দুই বন্ধুসহ দোকান ঘরে শুয়ে পড়ে।
এদিকে রোববার ভোর ৫ টার দিকে আগুন আগুন বলে প্রতিবেশীরা চিৎকার করে দোকান ঘর ভেঙে বরসহ ৩ জনকে উদ্ধার করে। আগুনে সম্পূর্ণ দোকানঘর পুড়ে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার মালামাল নষ্ট হয়। এ সময় আগুনে বর সাগরসহ তার সহযোগী ২ বন্ধুর কপাল এবং মাথার চুল পুড়ে যায়। খবর পেয়ে কনেপক্ষের লোকজন ছুটে আসে বরের বাড়িতে।
কনের বড় ভাই জানান, মিমের সাবেক স্বামী বখাটে। চুরিও করত। তাই তার বোন তাকে ডিভোর্স দিয়ে সাগরের সঙ্গে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করেছে। এরই মধ্যে বরের চুল ও কপাল আগুনে পোড়ার দুর্ঘটনায় বিয়ের দিনক্ষণ পরিবর্তন করে দু’দিন পেছানো হয়।
সাগরের বাবা ইদ্রিস বলেন, ‘আমার ছেলেকে হত্যা করার জন্য পেট্রল দিয়ে দোকানে আগুন ধরে দিয়েছে মিমের সাবেক স্বামী হাসিব।
ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সেরাজুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। কে দোকান ঘর আগুন দিয়ে পুড়ে দিয়েছে। আসামিকে শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’