রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের সীমান্ত নিয়ে জটিলতা নিরসনের কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। বরং দিন যত যাচ্ছে পরিস্থিতি ততই ঘোলাটে হচ্ছে।
এমন সময় প্রকাশ পেল ইউক্রেন নিয়ে ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন।
ওই গোয়েন্দা প্রতিবেদেনের ভিত্তিতেই ব্রিটেনের সরকার জানিয়েছে, ইউক্রেনের বর্তমান প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে রাশিয়া এমন এক ব্যক্তিকে সেদেশের সরকারের মাথায় বসাতে চাইছে, যার সাহায্যে ইউক্রেন দখল করা সহজ হয়। গোটা ঘটনা উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন প্রশাসন।
ব্রিটিশ গোয়েন্দাদের তালিকায় রয়েছে বেশ কয়েকজন রাজনীতিকের নাম। যার একেবারে উপরে রয়েছেন ব্রিটেনের প্রাক্তন এমপি ইয়েভগেন মুরায়েভ। রুশ গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে মুরায়েভ সমানে গোপনে যোগাযোগ রেখে চলেছেন বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ গোয়েন্দারা।
২০১৯ সালের নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন মুরায়েভ। বরাবরই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত মুরায়েভ একটি টিভি চ্যানেলের মালিক। ন্যাশ নামের ওই চ্যানেলে রাশিয়াপন্থী খবর প্রচার করা হয় বলে আগেই অভিযোগ করেছে ইউক্রেন।
তবে মুরায়েভের নাম প্রকাশ্যে আসতেই বিষয়টি অস্বীকার করেছে রাশিয়া। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টুইট, মুরায়েভের নাম নিয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। গোটা বিষয়টি ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর মস্তিষ্কপ্রসূত।
মুরায়েভের পাশাপাশি, আরও কয়েকজন রাজনীতিকের নাম প্রকাশ্যে এনেছেন ব্রিটিশ গোয়েন্দারা। তারা হলেন, মায়কোলা আজারভ, সেরগি আরবুজভ, অ্যান্ড্রি ক্লুয়েভ এবং ভোলোদিমির সিভকোভিচ। তাদের মধ্যে আজারভ এক সময়ে ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। সিভকোভিচ ছিলেন ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের প্রাক্তন উপসচিব। আরবুজভ এবং ক্লুয়েভ উভয়েই ইউক্রেনের মস্কোপন্থী প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের আমলে উপপ্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। সূত্র: ইউকে সরকারি ওয়েবসাইট, ফক্সনিউজ, দ্য উইক