গোয়াইনঘাটে সারী রেঞ্জ আওতাধীন বন বিভাগের ৫০৪ একর বনভুমি এলাকা নিয়ে রাতারগুল জলাবন সিলেটের গোয়াইনঘাটে অবস্থিত। বাংলাদেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন। পৃথিবীতে মিঠাপানির যে ২২টি মাত্র জলাবন আছে, “রাতারগুল জলাবন” তার মধ্যে একটি।
রাতারগুল, বাগবাড়ি ও পূর্ব মহিষখেড় এলাকার ৫০৪ দশমিক ৫০ একর ভূমি নিয়ে মিঠাপানির এই জলাবনের অবস্থান। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা এই বনে ৭৩ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। যার মধ্যে বনে রয়েছে বেত, কদম, হিজল, করচ ও মুর্তাসহ নানা জাতের জল সহিষ্ণু গাছ রয়েছে। এছাড়াও এই বনে ২৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ২০ প্রজাতির সরীসৃপ ও ১৭৫ প্রজাতির পাখি এবং ৯ প্রজাতির উভচর প্রাণী রয়েছে।
সারী রেঞ্জ আওতাধীন রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট হিসাবেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। বন বিভাগ ও স্থানীয় জনসাধারণের সমন্বয়ে একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি কাজ করছে রাতারগুলে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট বনে ভেতরে বেত ও নানারকমের গাছ কেটে নিয়ে গেছে । এলাকার অনেকের সাথে কথা বলে জানাযায় কর্মকর্তা উদাসীনতার কারণে ভতরের খালে পানি কমে আসলে অসাধু কর্মতাদের যোগসাজশে গাছ কাটা ও মাছ নিধন করা হয় অবাধে ।
এলাকার অনেকের অভিযোগ করেন ফরেস্ট কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা কমিটি সদস্যরা রাতারগুল বনে নিরাপত্তা ব্যাপারে উদাসীন। হেমন্ত কালে বনের চারদিক দিয়ে বনে ভিতর ঢুকা যায়। সকালে ও সন্ধায় বেলায় অনেকে বেত ও গাছ নিয়ে যেতে দেখা মিলে।
রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুত এ বিবষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন উর্ধতন কর্তৃপক্ষ অনুমতি ছাড়া আমি কোনো বক্তব্য দিতে পারব না।
এ বিষয়ে সারী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাদ উদ্দিনের মুঠো ফোনে নাম্বারে ০১৭১৪ ৭###৫২ বেশ কয়েক বার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
এই জলাবনের আয়তন ৩,৩২৫.৬১ একর। একে রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট হিসাবেও অভিহিত করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৩ সালে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য হিসেবে ঘোষণা করে। এছাড়াও ৩১ মে ২০১৫ তারিখে বাংলাদেশের বন অধিদপ্তর ২০৪.২৫ হেক্টর বনভুমিকে বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এলাকা হিসবে ঘোষণা কর হয়।