মোঃ রোমান বেপারী, মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের শিবচরে ১৪ বছর বয়সী নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে নাহিদ শেখ (২৮) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।শনিবার (জানুয়ারি-২২) রাত ১ টার দিকে তাকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় পলাতক রয়েছে অপর এক আসামী।
আটককৃত নাহিদ শেখ বন্দরখোলা ইউনিয়নের রাজারচর মোল্লা কান্দি গ্রামের কায়ুম শেখের ছেলে ও পলাতক আরিফ হাওলাদার (২৮) একই গ্রামের তারা মিয়া হাওলাদারের ছেলে।
মামলার বিবরন ও পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার সকালে ওই শিক্ষার্থী নিজ বাড়ি হইতে পাঁয়ে হেটে স্থানীয় মালের হাট বাজারে যাওয়ার পথিমধ্যে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শিবচর থানাধীন সন্যাসীরচর ইউনিয়নের বিনা কোম্পানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তার পূর্ব পরিচিত আশিক মাদবর (২০) এর সাথে দেখা হইলে তারা রাস্তার উপর দাড়িয়ে কথপোকথন শুরু করে। এসময় বন্দরখোলা ইউনিয়নের রাজারচর মোল্লা কান্দি গ্রামের কায়ুম শেখের ছেলে নাহিদ শেখ ও একই গ্রামের তারা মিয়া হাওলাদারের ছেলে আরিফ হাওলাদার একটি নীল রংয়ের মোটরসাইকেল নিয়ে তাদের সামনে এসে বিভিন্ন ভয়-ভীতি ও হুমকি-ধমকি দিয়ে জোর পূর্বক ভাবে ওই শিক্ষার্থীকে তাদের সাথে থাকা মোটরসাইকেলে উঠিয়ে অপহরন করে সন্যাসীরচর ইউনিয়নের মাদবর কান্দি এলাকার হারুন শেখের কলা বাগানে নিয়ে যায়। পরে নাহিদ শেখ তার সাথে থাকা আরিফ হাওলাদারকে দূরে সরিয়ে দিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে মুখ চাপিয়া ধরে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে।পরে ওই শিক্ষার্থী ধস্তা ধস্তির একপর্যায়ে চিৎকার দিলে আশপাশ হতে লোকজন এগিয়ে আসে। ততক্ষনে আসামী নাহিদ শেখ কলা বাগানের মধ্যে হতে বাহির হয়ে পালিয়ে যায়। পরে শিবচর থানার উপপরিদর্শক বরুন হীরার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেখানে উপস্থিত হয়ে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে শিবচর থানায় নিয়ে আসে। পরে রাত সোয়া ৮ টার দিকে শিবচর থানায় উপস্থিত হয়ে নাহিদ শেখে কে প্রধান আসামী করে আরো একজনে নাম উল্লেখ করে মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ভাই। এরবপর এই রাতে অভিযান পরিচালনা করে নাহিদ শেখকে আটক করে পুলিশ।
মামলার বাদী ভুক্তভোগীর ভাই বাবু বেপারী বলেন, ওরা আমার বোনের ইজ্জত নিয়েছে। আমি আইনের মাধ্যমে এর কঠিন বিচার চাই।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ মিরাজ হোসেন বলেন,” গতকাল সকালে খবর পেয়ে পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে। রাতে মেয়েটির ভাই বাদী হয়ে মামলা করার পরে মামলাম প্রধান আসামিকে আমরা গ্রেপ্তার করি । অন্য আসামীকে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।