আসন্ন কমনওয়েলথ গেমসের বাছাইপর্বের বাংলাদেশ দলে জায়গা হয়নি জাতীয় দলের অলরাউন্ডার জাহানারা আলমের। ১৫ সদস্যের দলে কেন জাহানারা নেই তা বিসিবি পরিষ্কার করে বলেনি। তবে শৃঙ্খলভঙ্গের একটা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে ছিল।
বিসিবির আরেক সূত্রে জানা গেছে, জিম্বাবুয়েতে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব চলার সময় সাবেক অধিনায়ক জাহানারার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশেষ করে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে নাকি তিনি দুর্ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ।
এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার মিরপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিসিবি পরিচালক ও নারী বিভাগের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল।
এ সময় নারী বিভাগের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমার কাছে কিছু প্রমাণ আছে, যেটা আপনাদের সামনে দেখাতে চাই না। এটা দেখালে আপনারাই লজ্জা পাবেন। অভিযোগটা উইমেনস উইং হোক কিংবা বিসিবির সিইও (প্রধান নির্বাহী), যার কাছেই দিক। আমরা বিষয়টাকে ইতিবাচক হিসেবেই নিতে চাই।
তিনি আরও বলেন, যাকে অ্যাড্রেস করে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে উনি বলেছেন বিষয়টা দায়িত্ব নিয়েই দেখবেন। আশা করি উনি বিষয়টা সুরাহা করে দেবেন। সে জায়গায় যদি আমাদের প্রয়োজন হয় বা কিছু করতে হয় তা-ও আমরা করব।’
তিনি আরো বলেন, এখানে তো পক্ষে-বিপক্ষে যাওয়ার কিছু নেই। আমরা খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় যেতে চাই। বোর্ড, ম্যানেজমেন্ট, সংগঠক আমাদের মাঝে তারা (ক্রিকেটার) সন্তানের মতো। তারা আমাদের ছোট বোনের মতো, ছোট ভাইয়ের মতো। চলার পথে তাদের কিছু ভুলভ্রান্তি থাকতেই পারে। সেটা আমরা সংশোধনের জন্য সহনশীল ও অভিভাবকসুলভ মনোভাব যেটা দেখানোর সেটাই দেখাব। যারা বাদ পড়েছে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা কিন্তু নির্ধারিত কিছু বলিনি। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের দেশের প্রত্যেকটা মানুষ আমাদের ক্রিকেটের ভালো চায়।
বিসিবির এক সূত্রে জানা গেছে, জাহানারা তার চিঠিতে জাতীয় দলের নির্বাচক মঞ্জুরুল ইসলাম ও টিম ম্যানেজমেন্টের আরও কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছেন। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আগে গত বছর সিলেটে হওয়া জাতীয় দলের ক্যাম্পের কিছু ঘটনার কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি।