কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর কনডেম সেলে বন্দি নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর হোসেনের হাতে মোবাইল ফোন পাওয়ার ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার আব্দুল জলিল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কারাগারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক উম্মে সালমাকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করেছেন কারা কর্তৃপক্ষ। ওই কমিটিকে ১১ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
জেল সুপার জানান, নূর হোসেনসহ তিন আসামি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পার্ট-২ এর কনডেম সেলে বন্দি রয়েছেন। কনডেম সেলে নূর হোসেন গোপনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন খবর পেয়ে ৫ জানুয়ারি সেখানে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় সেখান থেকে একটি মিনি বাটন মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাতজনকে অপহরণের তিনদিন পর তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও তার চার সহকর্মী হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি মামলা করেন।
এছাড়া সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে একই থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের দুটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভাই-ভাতিজাকে জেতাতে কারাগারের কনডেম সেলে বসেই মোবাইল ফোনে বয়োজ্যেষ্ঠদের তালিম দিয়ে যাচ্ছিলেন নূর হোসেন।ভোটের মাঠে তাদের দু’জনের পক্ষে নামতেই এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠদের খুঁজে খুঁজে বের করে কারাগার থেকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ রাখছিলেন ফাঁসির আসামি নূর হোসেন।
দ্যা মেইল বিডি/খবর সবসময়