জামালপুরের তারাকান্দিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪০-৪৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
গতকাল শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সকালে যমুনা সার কারখানা এলাকা থেকে মোর্শেদ নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করলে পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ঘেরাও করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে তার সমর্থকরা। এ সময় ছয় পুলিশ সদস্য আহত হন। আহত সদস্যরা হলেন- এসআই শফিউল আলম সোহাগ, এসআই সুলতান মাহমুদ, এএসআই মেহেদী হাসান, কনস্টেবল খোকনুজ্জামান ও সোলায়মান। এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল লতিফ জানান।
হামলার ঘটনায় শুক্রবার রাতেই তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিউল আলম সোহাগ বাদী হয়ে সরিষাবাড়ী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে রফিকুল ইসলামের সমর্থক মোর্শেদের নেতৃত্বে ৬০-৭০ জন লোক যমুনা সার কারখানা এলাকায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেন। পুলিশ এতে বাধা দিলে তারা সংঘর্ষে জড়ান। তদন্ত কেন্দ্রে হামলা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বাদশা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ কোন অপকর্ম কে প্রশ্রয় দেয় না। প্রত্যেক অপরাধীর অপরাধের দায়ভার তাদের নিজেদের। বিষয়টি সাংগঠনিকভাবে ও ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলার নেতাদের সাথে আলোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।
সরিষাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মজিদ জানান, পুলিশের কাজে বাধা ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগে এ মামলা করা হয়। এ ঘটনায় আটক ১ নম্বর আসামি মশিউর রহমান মোর্শেদকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এদিকে পুলিশের ওপর হামলা ও তারাকান্দি যমুনা সার কারখানা এলাকায় ভীতি সঞ্চারের অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিকের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্থানীয় লোকজন কারখানা এলাকায় এ মিছিল বের করেন।