দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে নির্বাচকদের পদের মেয়াদ ইস্যুতে বাগযুদ্ধে জড়িয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ও সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের লাইভে এসে আশরাফুলকে ‘দেশদ্রোহী’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন নান্নু। এরপর আশরাফুলও ফেসবুক লাইভে এসে এমন আচরণের প্রতিবাদ করেছেন।

তবে তাদের মুখোমুখি এমন অবস্থানে অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস। সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আশরাফুল যেহেতু বর্তমান খেলোয়াড় আর সাবেক একজন অধিনায়ক, আমি মনে করি সরাসরি এভাবে আক্রমণ করা ঠিক হয়নি। কাউকেই এভাবে আক্রমণ করা ঠিক নয়। আপনি একটা পদে আছেন বোর্ডে, ওই জায়গা থেকে এমন মন্তব্য না করাই ভালো ছিল। যেহেতু নির্বাচক কমিটি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের অধীনে, আমি এটা নিয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি।’

আশরাফুলের সঙ্গে মিনহাজুলের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভবিষ্যৎ দল নির্বাচনে সমস্যা হবে কি না, এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। জালাল ইউনুস এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমার মনে হয় না এমন কিছু হবে। আমার মনে হয় না ব্যক্তিগতভাবে কেউ এর শিকার হবে। যারা আসবে পারফরম্যান্সের জোরেই দলে আসবে।’

এর আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে বিসিবির বর্তমান নির্বাচক কমিটিকে নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কের শুরুটা করেন আশরাফুল। ওই টেলিভিশন চ্যানেলে আশরাফুল বলেন, ‘নির্বাচকদের মেয়াদ ৩-৪ বছর হলেই ভালো।’

এ মতামতের প্রতিক্রিয়ায় আশরাফুলকে ‘দেশদ্রোহী’ আখ্যা দিয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক নান্নু। তিনি বলেছেন, ‘যেসব খেলোয়াড় দেশদ্রোহী হয়ে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হয়, তাদের কাছ থেকে ভালো পরামর্শ আশা করাটা বোকামি। অস্ট্রেলিয়ার একজন প্রধান নির্বাচক প্রায় ৯ থেকে ১২ বছর একনাগাড়ে কাজ করেছেন। এতে কি অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট পিছিয়ে গেছে?’

নান্নুর এই প্রতিক্রিয়ার জবাবে রবিবার রাতে ফেসবুক লাইভে আশরাফুল বলেছেন, ‘আমি কোনো ব্যক্তির নাম বলিনি। আমি নির্দিষ্ট পদের কথা বলেছি। নান্নু ভাই টিভির লাইভে এসে আমার নাম ধরে যেভাবে আক্রমণ করলেন- এটা খুবই দুঃখজনক। আমি নান্নু ভাইয়ের কথা বলিনি। তিনি অস্ট্রেলিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন, ঠিক আছে। কিন্তু নির্বাচক পদটা কোনো পেশা হতে পারে না যে, আমি এখানে ১০-১২ বছর থেকে যাবো। এ জায়গায় সম্মান থাকে, ৩-৪ বছর থাকবে। আমার নিজের মধ্যেও নির্বাচক হওয়ার চিন্তা ছিল। কিন্তু এটা কোনো পেশা হতে পারে না।’

আশরাফুল আরও বলেন, ‘নান্নু ভাই যেভাবে নাম ধরে দেশদ্রোহী, ম্যাচ ফিক্সার বললেন, এটি তো ২০১৩ সালে হয়েছে। আমি সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছি, শাস্তিও হয়েছে। যেভাবে আক্রমণ করলেন, কষ্ট লেগেছে। যদি বলেন, দেশের ক্রিকেটে আমার অবদান নেই, তা হলে তো কিছু বলার নেই। আপনারা যদি মনে করেন আমি কিছু করিনি, তাহলে তো দুঃখজনক। ফিক্সিংয়ের বিষয়টি আমি যদি প্রকাশ্যে স্বীকার না করতাম, তা হলে হয়তো ভিন্নচিত্র হতো। তা হলে এক বছরের শাস্তি হতো, হয়তো এখন জাতীয় দলে খেলতাম। কিন্তু আপনার (নান্নু) সাক্ষাৎকারেই বোঝা যাচ্ছে-আপনার গুড বুকে আমি নেই বলেই এখন সুযোগ পাচ্ছি না। আপনাদের কাছে এখনো ক্ষমা পাইনি, আপনার কথাতে এটি বোঝা যাচ্ছে। আমার প্রকাশ্যে স্বীকার করা ভুল হয়েছে। একেকজন কিন্তু একেক জায়গায় ভুল কাজ করছেন। চোখ কান খোলা রাখলেই শুধু হবে।’

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওাল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2025 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version