নিজেদের মাটিতে ভারতের কাছে টেস্ট হারের ধাক্কা তখনও সামলে উঠতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট। তার মধ্যেই আরেক ধাক্কা দিলেন প্রোটিয়া উইকেটকিপার কুইন্টন ডি কক। হঠাৎ করেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দিলেন তিনি। কারণ পরিবারের সঙ্গে আরও সময় কাটাতে চান।
পিতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছিলেন তাই ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের বাকি দুই ম্যাচে এমনিতেই ছিলেন না তিনি। এবার পাকাপাকি ভাবে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন কুইন্টন ডি কক। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে এখনো সাদা বলের ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন এই প্রোটিয়া উইকেট কিপার।
ডি ককের অবসরের সিদ্ধান্তে কার্যত চমকে গেছে ক্রিকেট বিশ্ব। দক্ষিণ আফ্রিকার এই উইকেটকিপার জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা মোটেই সহজ কাজ ছিল না। অনেকটা সময় নিয়ে ভেবে দেখেছি আমি আগামী দিনের জন্য ঠিক কি চাইছি। কয়েক দিনের মধ্যে আমি এবং আমার স্ত্রী আমাদের পরিবারের নতুন সদস্যকে স্বাগত জানাতে চলেছি। আমার পরিবার আমার কাছে সবকিছু। জীবনের এই নতুন অধ্যায় তাই পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে চাই। আমি টেস্ট ক্রিকেটকে সব সময় ভালোবেসেছি আর ভালোবেসেছি জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে। জীবনের নানা ওঠাপড়া দেখেছি। তবে এখন হয়তো এর থেকেও অনেক বেশি পছন্দের কোন জিনিস আমি পেতে চলেছি। জীবনে সময় ছাড়া সব কিছুই কেনা যায়। আর এই সময়টাই আমি আমার প্রিয়জনদের দিতে চাই। ক্যারিয়ারের প্রথম দিন থেকে যারা টেস্ট ক্রিকেটে আমার সঙ্গী তাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। তবে আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ার এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। সাদা বলের ক্রিকেটে আমি এখনো দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করব।
২০২১ সালের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার অন্তর্বর্তীকালীন অধিনায়ক হয়েছিলেন ডি কক। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এসে কৃষ্ণাঙ্গ বিপ্লবে অংশ না নিতে চাওয়ায় জড়িয়েছিলেন বিতর্কে। পরে যদিও নিজের ভুল স্বীকার করে দলের আর সবার সঙ্গে আইসিসির নিয়ম মত কৃষ্ণাঙ্গ বিপ্লবের প্রতীকী অবস্থানে দেখা গিয়েছিল তাকে। আর বছর শেষ করলেন টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে। বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বে যা একটা চমক হয়ে থেকে গেল।