দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে টাঙ্গাইলে ফসলি জমি, বসতবাড়ি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশেই গড়ে উঠছে অবৈধ ইটভাটা।

এতে করে নষ্ট হচ্ছে কৃষি জমি কমছে ফলন। বিরুপ প্রভাব পড়ছে পরিবেশের উপর।

স্থানীয়দের অভিযোগ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও বন্ধ করা যায়নি এ সকল অবৈধ ইটভাটা। পরিবেশবীদরাও বলছে, এভাবে সনাতন পদ্ধতিতে লোকালয়ের পাশে ইটভাটা স্থাপন করায় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময় মানব বন্ধন সহ নানা কর্মসূচি পালন করলেও প্রশাসনের টনক নরেনি। আর জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে জেলার সকল অবৈধ ইটভাটা বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার পলাশতলী এলাকার পলাশতলী মহাবিদ্যালের পুরো কলেজকে ঘীরে রেখেছে একটি অবৈধ ইটভাটা।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ভাটার ট্রাকসহ নানা যানবাহনের বিকট শব্দে কানপাতা দায় তার ওপর বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন পুরো কলেজ ক্যাম্পাস। আর এমন পরিবেশেই পড়ালেখা করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এতেকরে ব্যহত হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ। শিক্ষার্থীরা বলছে ভাটার ট্রাক সহ নানা যানবাহনের বিকট শব্দে পড়ালেখা ব্যহত হয় তার ওপর বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় সেখানে বসে থাকায় দায়। একদিন ক্লাশে আসলে পরের দিন আসতে পারিনা মাথা ব্যথা করে। অনেক সময় চোখ দিয়ে পানি পড়ে এবং চোখ ব্যাথা করে। আমরা চাই দ্রুত এই ইটভাটা অন্য কোথাও স্থানান্তর করা হোক।

পলাশতলী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ, আবু সাঈদ সিদ্দিকী বলেন, ইটভাটার কারনে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ। শিক্ষার্থীরা ক্লাশে আসতে চায়না এভাবে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলতে পারেনা বলে মন্তব্য করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে এই অবৈধ ইটভাটা বন্ধের জন্য আবেদন করেছি কিন্তু লাভ হয়নি। দ্রুত এই অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট হবে প্রশাসন।

স্থানীয়রা বলন, একই অবস্থা সদর উপজেলার সদুল্যাপুর এলাকার। সেখানে আবাসিক এলাকাতেই গড়ে উঠেছে চারটি ইটভাটা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজার থাকলেও দেয়া হয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। স্থানীয়রা বলছে ইটভাটার কারনে জমিতে আর আগের মতো ফসল হচ্ছেনা। ডাব গাছে ডাব থাকেনা একটু বড় হলেই ডাব ফেটে পড়েে যায়। এছাড়াও আম কাঠাল সহ অধিকাংশ ফলের ফলন কমে গেছে। আর ধানের মৌসুমে ইটভাটার বিষাক্ত ধোঁয়া ও ছাইয়ের কারনে ধান চিটা হয়। ভাটা থেকে যে ধুমা হয় তাতে আমাদের ক্লাস নিতে সমস্যা হয়। এমন চিত্র পুরো জেলা জুড়েই প্রতিটি উপজেলাতে গড়ে উঠেছে অবৈধ ইটভাটা।

বিষয়টি নিয়ে মাওলানা ভাসানি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক
ডক্টর এ এস এম সাইফুল্লাহ বলেন, জমির উপরের ৪ থেকে ৬ ইঞ্চি মাটি উর্বর বেশি বেশি থাকে। যা ফসল উৎপাদনে খুবই সহায়ক। এভাবে টপ সয়েল তুলে নেওয়া অব্যাহত থাকলে ভতিষ্যতে জমিগুলো পরিত্যক্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর যত্রতত্র ইটভাটা স্থাপন করায় পরিবেশ ভারসাম্য হারাচ্ছে। আমরা কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করছি কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত এই অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখবে।

টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জমির উদ্দিন বলেন, গত বছর আমরা অনেক গুলো ইটভাটাকে জরিমানা করেছি, এ বছরও আমাদের অভিযান চলবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশে পাশের এক কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা করা যাবে না। যে সকল ইটভাটা বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে আছে সেগুলোর ছারপত্রও বাতিল করা হবে।

টাঙ্গাইলের জেলা ড. আতাউল গনি
প্রশাসক বলেন, পরিবেশ সনদ ছাড়া যে সকল অবৈধ ইটভাটা রয়েছে সেগুলো বন্ধ করার জন্য দ্রুতই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করব

টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রমতে, বর্তমানে জেলায় মোট ২৮২টি ইটভাটা রয়েছে এর মধ্যে ১২৯টির পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন রয়েছে বাকী ১৫৩টি ইটভাটার পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই।

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওাল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2024 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version