ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী ‘এমভি অভিযান-১০’ লঞ্চে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে ভ;য়া;ব;হ অ;গ্নি;কা;ণ্ড ঘটে। সেই দু;র্ঘট;না;য় ৪১ জনের মৃ;ত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
বরগুনাগামী সেই লঞ্চে ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার। গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমিস্টার চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়ে গ্রামের বাড়ি বরগুনা যাচ্ছিলেন তিনি। ঢাকায় অবস্থানরত এক ফুফাতো বোনকে সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর সদরঘাট নৌ টার্মিনাল থেকে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ওঠেন।
মধ্যরাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে চলন্ত লঞ্চে হঠাৎ আ;গু;ন ধরে যায়। সাঁতার না জানা ফাতেমা আক্তার এ সময় মায়ের পরামর্শে আ;গু;ন থেকে বাঁ;চ;তে ঝাঁ;প দেন নদীতে। ততক্ষণে অ;গ্নি;দ;গ্ধ হন তিনি।
সাঁতার না জানলেও অন্যের সহায়তায় পাড়ে উঠতে সক্ষম হন ফাতেমা। জবির ব্যবস্থাপনা বিভাগের এই শিক্ষার্থী বর্তমানে ঝালকাঠির সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে ভর্তি করার পরিকল্পনা করছে তার পরিবার।
ফাতেমার পরিবারের বরাতে জানা যায়, ‘অ;গ্নি;কা;ণ্ডে;র ঘটনায় ফাতেমা ও তার বোন ভয় পেয়ে মায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে। মায়ের পরামর্শে তারা সাঁতার না জানলেও নদীতে ঝাঁপ দেয়। পরে তার ফুফাতো বোনের সহায়তায় কোনোভাবে নদীর তীরে ওঠে। দুজনের হার না মানা জী;ব;নযু;দ্ধে;র জন্য প্রাণে বেঁ;চে যায়।’এদিকে নদীতে ঝাঁপ দিলেও আগুনে ফাতেমার হাত-পায়ের অনেকাংশ পুড়ে গেছে। দীর্ঘক্ষণ নদীর পানিতে থাকায় অধিক ঠান্ডার কারণে শ্বা;সক;ষ্টে;ও ভুগছেন। তার বাবা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজধানীর শেখ হাসিনা বা;র্ন ইউনিটে ভর্তি করবে বলে জানা গেছে।