আসন্ন পঞ্চম ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সহিংসতায় জড়াতে নেতাকর্মীদের লাঠিসোঁটা তৈরি করে রাখার আহ্বান জানান ভোলা সদর উপজেলা ২নং ইলিশা ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ার হোসেন ছোটন।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে ওই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে এক উঠান বৈঠকে প্রকাশ্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।
এসময় তিনি ওই ইউনিয়নে ডেলিকেট ভোটে বিজয়ী মো. শামীম মাষ্টার নামে এক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর নাম উচ্চারণ করে তাঁর চরিত্র হনন করার চেষ্টা করেন। বৈঠকে ভোলা সদর উপজেলা জাতীয়পার্টির সালাউদ্দিন নামে এক নেতাও বক্তব্য দেন।
যা রীতিমতো ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এবং নেটিজেনরা এ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করছেন।
১ ঘন্টা ১৭ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ার হোসেন ছোটন তাঁর নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে বলেন, আপনারা পিছা (ঝাড়ু) ঘাবেড় লাঠি ও সুপারি গাছের বৈঠা নিয়ে তৈরি থাকুন। যেদিন ধরমু সেদিন পাকনা ধরা ধরমু। কোনো কূল-কিনারা পাবেন না। আমিও কিন্তু জাত পাগল। আমার ঘাড়ের পিছনে একটা রগ ত্যাড়া আছে। আমি চেতলে কাউকেই ছাড়মু না কাক্কু।
এসময় তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরোধীতা করে তিনি বলেন, ৮৫ বছর বয়সে জননেতা তোফায়েল আহমেদকে ভুলবুঝিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের ওই নেতা।
ডেলিকেট ভোটে বিজয়ী ওই প্রার্থীর নাম উচ্চারণ করে ছোটন বলেন, শামীম মাষ্টার যদি নির্বাচন করতো, তাহলে এই ইউনিয়নের কোনো মেয়েদের ইজ্জত থাকতো না এমনকি এই ইউনিয়নের কোনো মেয়েদেরকে মানুষ বিয়েও করতো না।
এক হুংকারে জাতীয় পার্টির ওই নেতা বলেন, আমরা জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও জামায়াত ছোটনের সাথে আছি। নির্বাচনে এদিক সেদিক হলে কাউকেই কেউ রক্ষা করতে পারবে না।
পুরো ভিডিওতে আনোয়ার হোসেন ছোটন নৌকা মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে গিয়ে নির্বাচনী সহিংসতা জড়াবেন এমন হুশিয়ারিও দেন। যা ভাইরাল ভিডিওতে শোনা যায়।