স্টাফ রিপোর্টার : নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করার কারণে ১৭ বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীকে আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার জন্য জেলা কমিটির কাছে সুপারিশ পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন, বড়কাশিয়া বিরামপুর ইউপির মঈন উদ্দিন (লিয়াকত) ও দেলোয়ার হোসেন (দুলাল)। বরতলী বানিহারী ইউপির মো. আজিজুর রহমান, মো. হাসিম উদ্দিন, মো. রায়হান সিদ্দিকী (ফারুক) ও মো. সোহাগ। তেতুলিয়া ইউপির মো. আবুল কালাম আজাদ। মাঘান-সিয়াধার ইউপির মো. সারোয়ার হোসেন নয়ন, আ হ ম শহীদুল হক, মো. নজরুল ইসলাম (খোকন) ও মীর্জা শামছুল আলম (রাহুল)। সমাজ-সহিলদেও ইউপির নূর মোহাম্মদ খান বার্কো। সুয়াইর ইউপির মো. হাবিবুর রহমান সরকার (কাঞ্চন) ও জহিরুল হক চৌধুরী হীরা। গাগলাজুর ইউপির মো. লিটন তালুকদার, মাসুদ আহমেদ ও মো. আরিফুল ইসলাম।
তালিকা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বহিষ্কার হওয়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অধিকাংশই বিএনপির সাবেক নেতাকর্মী। আওয়ামী লীগের শাসনামলের বিভিন্ন সময়ে তারা মালা নিয়ে দল বদল করেছেন।
গত সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দলীয় প্যাডে লিখা এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়। এরআগে গত শনিবার মোহনগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মোহনগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লতিফুর রহমান রতন ও সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদ ইকবাল স্বাক্ষরিত এ পত্রে তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এতে বলা হয়েছে, ৪র্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড কর্তৃক চুড়ান্ত হওয়া দলীয় প্রার্থীরা নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। কিন্তু দলীয় নেতা-কর্মী হয়েও দলের মনোনিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অংশগ্রহণ করায় ১৭ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ওই বর্ধিত সভায় দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করারও সবাই মিলিতভাবে চেষ্টা চালানোর অঙ্গীকার করেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
মোহনগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের জনসংখ্যা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক কামাল হোসেন রতন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এরা দলের জন্য ক্ষতিকর। তাই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত যথাযথ হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৪র্থ ধাপে মোহনগঞ্জের সাত ইউপিতে আগামী ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মোট ২৯ জন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।