বিষাদে ছেঁয়ে গিয়েছিল লিওনেল মেসির অভিব্যক্তি। ২১ বছর বার্সেলোনায় কাটিয়ে পিএসজির নতুন আবহে ঠিক চেনা যাচ্ছিলো না শোকাহত আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে। নিজেকে হারিয়ে খোঁজা মেসি পিএসজির জার্সিতে এখনও দেখাতে পারেননি আহামরি কোনো পারফরম্যান্স। আর প্যারিসে মেসির পথচলা সহজ করতে পিএসজির সবাই সচেষ্ট বলে জানালেন সতীর্থ অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া।
গত ৯ই আগস্ট বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দিয়েছেন লিওনেল মেসি। তবে লা প্যারিসিয়ানদের জার্সি জড়িয়ে গোলের দেখা পেতে আর্জেন্টিনা অধিনায়ককে অপেক্ষা করতে হয়েছে তিন মাসেরও বেশি সময়। গত ২০শে নভেম্বর ফরাসি লিগ ওয়ানের ম্যাচে নঁতের বিপক্ষে প্রথম গোলটি করেন মেসি। ইএসপিএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ডি মারিয়া বলেন, ধীরে ধীরে পিএসজিতে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিচ্ছেন মেসি। ডি মারিয়া বলেন, ‘আমি মনে করি, ক্লা ব্রুগার বিপক্ষে আমাদের ম্যাচটা দেখিয়েছে আমরা কেমন করছি।’
পিএসজিতে আগে থেকেই তারার মেলা।
তার ওপর লিওনেল মেসির অন্তর্ভূক্তি দর্শকদের প্রত্যাশার পারদ আরও উঁচুতে নিয়ে গেছে। বিশ্বসেরা আক্রমণভাগ নেইমার,এমবাপ্পে, মেসির কাছে আধিপত্যের খেলা প্রত্যাশা করে ভক্তরা। ডি মারিয়া বলেন, ‘মেসি দলে যোগ দেয়ার পর সবার চাওয়া ৪-০, ৫-০ গোলের জয়, কিন্তু ফুটবল এমন নয় মোটেও। ফুটবলে উন্নতিটা ধীরে ধীরে করতে হয়।’
ডি মারিয়া মনে করেন, প্যারিসে দ্রুতই মানিয়ে নিচ্ছেন মেসি। পরিবার নিয়ে সুখেই আছেন তিনি। মারিয়া বলেন, ‘বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে বেশ সুখিই দেখা যায তাকে। তার সন্তানেরা স্কুলে যাচ্ছে। প্যারিসে মেসির জীবন সহজ করতে সবাই সাহায্য করছে। আশা করি, খুব শিগগির প্যারিসের জীবনে সে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে।’
বার্সেলোনা এবং পিএসজির মেসির মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য দৃশ্যমান। স্প্যানিশ লা লিগার প্রত্যেক ম্যাচে দেখা যেতো লিওনেল মেসির জাদুকরি পারফরম্যান্স। অথচ প্যারিসে চেনা ছন্দে নেই সাতটি ব্যালন ডি’অরের মালিক। ডি মারিয়ার মতে, দুই ক্লাবের খেলার ধরনের ভিন্নতায় মেসির পারফরম্যান্সে ভাটা পড়েছে। তিনি বলেন, ‘ফুটবলে সবকিছু ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে। তার বড় একটা পরিবর্তন এসেছে। পিএসজিও ভিন্ন ধারার ফুটবল খেলে, যারা দ্রুত আক্রমণে ওঠে। আর বার্সেলোনা বলের দখল নিয়ে খেলে। আমরা সবকিছুতে ভারসাম্য আনতে চাইছি, তবে সে যেন পিএসজির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে সেজন্যে সেও বেশ চেষ্টা করে।’
এদিকে পিএসজির অনিয়মিত পারফরম্যান্সে সমালোচনার শিকার হচ্ছেন মাউরিসিও পচেত্তিনো। ডি মারিয়া স্বদেশি কোচের সমর্থনে বলেন, ‘পচেত্তিনোর কাজটা সহজ নয়। মাঠে ১১জন খেলোয়াড় খেলে। আপনি সবাইকে খুশি করতে পারবেন না। সে দলের জন্য নিজের দায়িত্বটা পালন করেন। খেলোয়াড়দের দায়িত্ব ভালো ফলাফল দেয়া।’