সেশনজট নিরসনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে মুক্ত আলোচনা করেছেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব।
রবিবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় একাডেমিক ভবনের ছয়তলায় আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও আইন অনুষদের ডিন ড. রাজিউর রহমান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোঃ শরাফত আলীসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।
এসময় শিক্ষার্থীরা সেশনজট নিরসনে বিভিন্ন মতামত দেয়ার পাশাপাশি ইম্প্রুভমেন্ট সিস্টেম চালু করা, রুম সংকট, শিক্ষক সংকট, ল্যাব সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে উপাচার্যের নিকট দাবি উপস্থাপন করেন।
ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী কারিমুল হক বলেন, “বিজ্ঞান কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের শিক্ষার্থীদের ল্যাব প্রয়োজন হলেও মানবিক অনুষদের শিক্ষার্থীদের ল্যাব প্রয়োজন হয়না। মানবিকী অনুষদে চাইলে তিনমাসেও সেমিস্টার শেষ করা সম্ভব। তাই আমরা চাই অন্তত অনুষদের অধীন বিভাগগুলোকে স্বাধীনতা দেওয়া হোক এবং অনুষদভিত্তিক সেশনজট নিরসনে রোডম্যাপ করা হোক।”
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আঞ্জুমান আরা বলেন, “সেশনজট নিরসন করতে গিয়ে রেজাল্ট যেন খারাপ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে প্রশাসনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া ওমিক্রন অতিদ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে এই বিষয়টি মাথায় রেখে আগে থেকেই বিকল্প পদ্ধতি সেমিস্টার শেষ করার রোডম্যাপ করতে হবে।”
শিক্ষার্থীদের বক্তব্য শেষে সেশনজট নিরসনে ভবিষ্যত রোডম্যাপ নিয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড.একিউএম মাহবুব বলেন, “অনুষদভিত্তিক রোডম্যাপের বিষয়ে ডিনস কমিটিতে আলোচনা করা হবে। আর আগামী একাডেমিক কাউন্সিলের মাধ্যমে দ্রুত ইম্প্রুভমেন্ট সিস্টেম চালু করার উদ্যোগ নেয়া হবে। এছাড়া, আগামী বছর বিসিএস পরীক্ষার সার্কুলারের সময় জেনে ওই অনুযায়ী রেজাল্ট প্রসেসিং এর ব্যবস্থা করা হবে।
এসময় তিনি আরও বলেন, “একটি পূর্নাঙ্গ সিলেবাস প্রণয়ন করতে হবে যাতে ওরিয়েন্টেশনের দিন একজন শিক্ষার্থীর হাতে তা পৌঁছে দেয়া যায়। এতে শিক্ষার্থীরা আরও এডভান্স জানতে পারবে। এছাড়া কোর্স সংখ্যা কমাতে হবে।”
রুম সংকট ও শিক্ষক সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, “রুমসংকট দূরীকরণে কাজ চলছে। আর সিনিয়র শিক্ষকের বিকল্প নেই, তবে মফস্বল শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সিনিয়র শিক্ষক পাওয়া কঠিন। এক্ষেত্রে একটি সমাধান হতে পারে আমরা কোর্সভিত্তিক বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সাথে চুক্তি করতে পারি এবং অনলাইন-অফলাইন সমন্বয়ের মাধ্যমে কোর্সটি সম্পন্ন করতে পারি। কিন্তু এভাবে শিক্ষক নিয়োগের জন্যে ইউজিসির সহযোগিতা প্রয়োজন।”