রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার জহুরুল ট্রেডার্সের বিরূদ্ধে ৭৫০ বস্তা শাহ সিমেন্ট অবৈধভাবে মজুদের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৬ নভেম্বর) ওই সিমেন্ট নামানোর সময় হাতেনাতে ধরা পরে সিমেন্ট কোম্পানির প্রকৃত ডিলারের হাতে।
জানতে চাইলে ওই গাড়ি চালক মুরাদ বলেন, আমাকে পাবনার নগরবাড়ীর বাদশা দালাল ফোন দিয়ে জহুরুল ট্রেডার্সে মাল দিতে বলেছে । আমি হুকুম পালন করেছি মাত্র । এর আগেও বহু জায়গায় এমন মাল পরিবহন করেছি ওই দালালের ।
জহুরুল ট্রেডার্সের ম্যানেজারের কাছে উক্ত মালের চালানের বিষয়ে ও ডিলারের অনুমোদন বহির্ভূত মাল মজুদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন , আমার মালিকের কাছে চালান আছে । ওনাকে কয়েকবার ফোন দিয়ে জানালাম বিষয়টি । শাহ কোম্পানির সিমেন্টের ডিলারশিপ নাই আমাদের । বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার অনুরোধ জানাচ্ছি ।
আল মদিনা ট্রেডার্সের কর্নধার ও শাহ সিমেন্টের ডিলার আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম জানান , আমরা কোম্পানি থেকে নিযুক্ত ডিলার। এই সিমেন্ট আমাদের মাধ্যমে তারাগঞ্জ উপজেলায় বিক্রি করার একক অধিকার রাখি কোম্পানির সাথে চুক্তি অনুযায়ী। অথচ জহুরুল ট্রেডার্সের মালিক নিয়মহির্ভূতভাবে দালালের মাধ্যমে ক্রয় করে সিমেন্ট বিক্রি করে আসছেন বহুদিন । একাধিকবার নিষেধ করলেও তিনি শোনেননি । আজকে হাতেনাতে ৭৫০ বস্তা সিমেন্টে সহ ধরেছে আমার লোকজন , যার গাড়ির নাম্বার ট২২৭৫৪১ ।
জহুরুল ট্রেডার্সের মালিক জহুরুল ইসলাম জানান , আমি দুই টাকা কম পাওয়ায় বাইরের দালালের কাছে নিয়েছি ও টাকা পরিষদ করেছি । এটা আমার ভুল হয়েছে ।
শাহ সিমেন্টের রিজিওনাল ম্যানাজার নজরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমরা জেনেছি। আসলে জহুরুল ট্রেডার্স এর কর্নধার বিষয়টি ঠিক করেনি । আমরা এ বিষয়ে সমাধান করার চেষ্টা করছি ।