কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন (স্টাফ রিপোর্টার) : নেত্রকোনার গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অভিযানে বিদেশী উট ও ময়ূরসহ বিভিন্ন জাতের পাখির বাচ্চা জব্দ হয়েছে। জব্দকৃত বিদেশী পাখির বাচ্চার মধ্যে রয়েছে ৪৬টি উট, ৫টি ময়ূর, ১৫টি লাভ বাড, ৩০টি বাজ রিগার ও ৩টি ককটেল পাখির বাচ্চা। বিভিন্ন জাতের এসকল পাখির বাচ্চার অনুমান মুল্য আট লক্ষ ৭২ হাজার ৫০০ টাকা। একাজে ব্যবহৃত একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেট কারও জব্দ করা হয়েছে। যার জব্দ তালিকামূল্য চার লক্ষ টাকা।
শুক্রবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানান নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী। এরআগে গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১২টায় পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. আল আমিন হোসাইনের তত্ত্বাবধানে ডিবির ওসি মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সংগীয় ফোর্সসহ সদর উপজেলার বালুয়াকান্দা গ্রামের অভিযান পরিচালনা করে তিনজনকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
আটকরা হলেন, নেত্রকোনা সদরে বালুকান্দা গ্রামের মৃত হাফেজ হাবিবুল্লাহর ছেলে আহমেদুল্লাহ সাকিব (৩২), কুমিল্লা সদর উপজেলার মাঝিগাছা গ্রামের মো. শাহ আলমের ছেলে ইব্রাহীম রানা (৩২) ও জামালপুর বকশীঞ্জের কুশলনগর গ্রামের মো. আজিম উদ্দিনের ছেলে মো. আমিনুল ইসলাম (৩৮)।
অভিযানে যুক্ত থাকা নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. আল আমিন হোসাইন জানান, আহমেদুল্লাহ সাকিবের ভাড়াটিয়া খামারে রাখা একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেট কারের ভেতর কাগজের কার্টুনে ৬টি বিদেশি উট পাখির বাচ্চা পাওয়া যায়। পরে তার খামারে অভিযান পরিচালনা করে আরও বিদেশি উট পাখির বাচ্চাসহ ময়ূর, লাভ বার্ড, বাজ রিগার ও ককটেল এসকল পাখির বাচ্চাও জব্দ করা হয়।
তিনি আরো জানান, এসময় বনবিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সায়েদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে বিদেশি বন্য পাখি সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদে লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি দেখতে চাইলে আটককৃতরা তা দেখাতে পারেনি। আটকরা পরস্পরের সহযোগীতায় লাইসেন্স ব্যতীত অবৈধভাবে বিদেশি বন্য পাখির বাচ্চা পালন ও বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজেদের তত্ত্বাবধানে রেখেছিল। পরে তাদের বিরুদ্ধে বন্য প্রাণি সংরক্ষণ আইনে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত প্রাণিগুলো বর্তমনে পুলিশ প্রহরায় ওই খামারেই রয়েছে। আদালাতের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাণিগুলোর বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানান তিনি।