মো: হাবিবুর রহমান,নড়াইল প্রতিনিধি:
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কামারগ্রামে এক হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে মামলার আসামিদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুট করে প্রতিপক্ষরা। মামলার শুরু থেকেই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করছে প্রতিপক্ষরা। স্থানীয়রা জানান, পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সৈয়দ আলী হত্যাকাণ্ডের পর আসামিদের বাড়িঘরে ভাঙচুর-লুটপাট চলছেই।
গত কয়েকদিনে নাসির শেখ ও মো. শফিকুল শেখের ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে নিয়েছে সবকিছুই। আসামি নাসির শেখের বাড়ির কাঁচা ও আধাপাকা চারটা ঘরের চালের টিন কুপিয়ে ঝাজরা করে দিয়েছে এবং ঘরের গ্রীলের জালানা, দরজা, খাট-পালংসহ অন্যান্য আসবাবপত্র এবং দুইটা নৌকা ও পুকুরের মাছ লুটিয়ে নিয়েছে।
এ ছাড়া আসামি মো. শফিকুল শেখের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও সমস্ত আসবাবপত্র লুটপাট করা হয়েছে। আসামি নাসির শেখের স্ত্রী আলেয়া বেগম বলেন, আমার স্বামীসহ তিন ছেলে আসামি। আমার স্বামী নাসির শেখ ও ছেলে নাজমুল শেখ জেলে আছে। আমরা এখন কেউ বাড়িতে থাকি না।এই সুযোগে বাদীপক্ষের লোকজন আমাদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও ঘরে থাকা সব কিছুই লুটপাট করে নিয়ে গেছে। রাত গভীর হলেই বাদীপক্ষের লোকজন ভাঙচুর ও লুটপাট করেই যাচ্ছে। বাদিপক্ষ আমাদের ঘরের সবকিছু ভেঙে নিয়ে গেছে। এখন আমাদের কিছুই নেই। ঘরবাড়ি, সংসার সব শেষ হয়ে গেছে।
হত্যা মামলার আসামি মো.শফিকুল শেখের স্ত্রী মোছাঃ রাশিদা বেগম জানান, আমার স্বামী বাড়িতে নেই। ছেলেমেয়ে নিয়ে আমি বাড়িতে খুব ভয়ে থাকি। প্রায় রাতেই বাদীপক্ষের লোকজন বাড়িতে এসে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে এবং হুমকি ধামকি দিয়ে যায়।
সরজমিন গেলে দেখা যায়, কয়েকটি বসতঘর খালি পড়ে আছে। বাড়ির লোকজন, গৃহস্থালি সামগ্রী কিছুই নেই। বাড়ির কাঁচা ও আধাপাকা ঘরের চালের টিন কুপিয়ে ঝাজরা করে দিয়েছে এবং ঘরের গ্রীলের জালানা, দরজা, খাট-পালংসহ অন্যান্য আসবাবপত্র লুটিয়ে নিয়েছে। যে বাড়ির লোকজন আছে তাদর চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ।
লোহাগড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)হরিদাস রায় জানান, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের কোন অভিযোগ পাইনি। ভুক্তভোগিরা অভিযোগ দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
উল্লেখ্য, গত ২১ আগস্ট পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে খুন হন মো. সৈয়দ আলী। এরপর তার ভাই মো. সেকেন্দার শেখ বাদী হয়ে গত ২২ আগস্ট ৫ জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১২, তারিখ- ২২-০৮-২১ইং। আসামিরা হচ্ছে, মো. নাসির শেখ (৬০), মামুন শেখ (২৫), নাজমুল শেখ (২২), ইমন শেখ (১৯), মো. শফিকুল শেখ (৩০)। মামলার দুই জন আসামি এখন জেল হাজতে আছে। পলাতক রয়েছে ৩ জন আসামি।