ফরহাদ খোন্দকার, ফেনী থেকে :
এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়নের গতিয়া পূর্ব সোনাপুর এলাকার শরিয়ত উল্যাহ’র ছেলে ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক বেলাল আহমেদ মুহুরি নদীর উপর উত্তর সতর এবং গতিয়া সোনাপুর দুই অঞ্চলের মানুষের চলাচলের সংযোগ সেতু তৈরি করে ব্যাপক সাড়ায় ফেলেছেন। দৃষ্টিনন্দন সেতুটি একনজর দেখতে প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন হাজারো ভ্রমণ পিয়াসু মানুষ।
নদীতে গোসল করার জন্য সেতুর পাশে একটি সুন্দর ঘাট নির্মাণ করেছেন। প্রতিদিন সন্ধ্যালগ্নে এলাকার ফুটবল প্রেমীরা খেলা শেষে নদীর পানিতে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন।
কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে, The mail Bd , News এর প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বলেন, এই অঞ্চলের মানুষ যুগ যুগ ধরে অবহেলিত ছিলো। নদীতে পানির স্রোতে বিলীন হয়ে যাওয়া মানুষের ঘরবাড়ি রক্ষার্থে বেলাল আহমেদ পাথরের ব্লক দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করেন। এছাড়াও বিনোদনে নতুন মাত্রা যোগ করতে খেলার মাঠ, নদীর ধারে স্নানঘর, ইবাদত খানা তৈরি করেন। এরপর দুই অঞ্চলের মানুষের চলাচলের জন্য বেলাল হোসেন তার নিজস্ব অর্থায়নে মুহুরি নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণ করেন। যা স্থানীয় মানুষের কাছে মেগা সেতু নামে বেশ পরিচিত। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে এখানে ছুটে আসেন অনেক ভ্রমণ পিয়াসু মানুষ।
ব্রীজের উপর সখ্যতা করে ফেনী থেকে ছবি তুলতে আসা মনির ও প্রিন্স আরিফ নামের দুই যুবক বলেন, ফেসবুকে কিছুদিন ধরে দৃষ্টি নন্দন ব্রীজের ছবি ভেসে উঠতে দেখে এখানে আসার ইচ্ছে জাগলো তাঁদের। এলাকার কয়েকজন বন্ধু নিয়ে এসে অনেক ভালো লাগছে। এখানে প্রকৃতি আসলেই অনেক সুন্দর, না এলে কখনোই বুঝতাম না। শিল্পপতি বেলাল হোসেন সেতুটি নির্মান করায় তাঁর প্রতি ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
এব্যাপারে ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক বেলাল আহমেদ দৈনিক The Mail Bd, কে বলেন, ছোট বেলা থেকেই তাঁর স্বপ্ন ছিলো এই এলাকার অসহায়, হতদরিদ্র, অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। এলাকায় দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠায় একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা তৈরি করার। তার সেই স্বপ্ন পূরণে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
এলাকার মানুষের লালিত স্বপ্ন এখানে দুই অঞ্চলের মধ্যে একটি সংযোগ সেতু তৈরি করার। সেতুটি নির্মিত হওয়ায় এটি এখন ভ্রমন পিয়াসু মানুষের বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান।
প্রকৃতির এই কোলাহলময় নগরীতে নিজের গা ভাসাতে পরিবার পরিজন নিয়ে প্রতিদিন এখানে ছুটে আসেন অনেকেই।